#বর্ধমান: কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বিষধর সাপ! আতংকে জেগে রাত কাটালেন বাইরের রাজ্য থেকে আসা পুরুষ মহিলারা। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর হালদিপাড়া হাই স্কুলের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের বেহাল পরিকাঠামো নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষোভ তুঙ্গে। তাঁরা বলছেন, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে অব্যবস্থা চূড়ান্ত। খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা দূরে থাক, পর্যাপ্ত পরিশ্রুত পানীয় জলটুকুও মিলছে না। প্রশাসনের কেউ খোঁজ পর্যন্ত নিচ্ছে না। প্রতিবাদে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের গেটে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।
ব্যাপকভাবে করোনা আক্রান্ত পাঁচ রাজ্য মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ির কাছাকাছি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এ জন্য জেলায় প্রায় ৯৫০ স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খুলেছে জেলা প্রশাসন। বেশ কিছু কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকেই অব্যবস্থার অভিযোগ উঠছে। পূর্বস্থলীর হালদিপাড়া হাই স্কুলের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রয়েছেন বাষট্টি জন। তাদের মধ্যে অনেকেই এসেছিলেন গুজরাত থেকে। সেখানে গয়না শিল্পের কাজ করতেন তাঁরা। বিশেষ শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে তারা জেলায় ফিরেছেন। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে মেনে তাদের কোয়ারান্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে।
সেখানে থাকা এক পরিয়ায়ী শ্রমিক বলেন, এতো লোকের জন্য মাত্র একটি টিউব ওয়েল। এছাড়া পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। মাত্র দুটি শৌচালয়। তাতেই সকলকে কাজ চালাতে হচ্ছে। বলা হয়েছিল, 'খাবার আসবে। কিন্তু এখানে আসার পর বলা হয় বাড়ি থেকে খাবার আনাতে হবে। তার ওপর বাথরুমে ইলেকট্রিকও নেই। শুক্রবার রাতে বৃষ্টির মধ্যে অন্ধকারে বিষধর সাপ বেরিয়েছিল। আতঙ্কে সারা রাত জেগে কাটাতে হয়েছে'। অন্য এক পরিযায়ী শ্রমিক বললেন, 'গুজরাত থেকে এসে আমরা ১২ দিন এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে চরম অব্যবস্থার মধ্যে দিন কাটালাম। একদিনের জন্যও আশা কর্মীরাও খোঁজ নিতে আসেনি। আজ দেখলাম আরও একদল লোক এল। আমাদের সঙ্গে একই বিল্ডিংয়ে তাদের রাখা হয়েছে। একই শৌচাগার একই টিউবওয়েল তারাও ব্যবহার করছে। তাদের মধ্যে কেউ নিজেদের অজান্তে করোনার সংক্রমণ বহন করলে তাদের মাধ্যমে আমাদেরও আক্রান্ত হওয়ার আশংকা রয়েছে। আমাদের নিয়ে প্রশাসনের এতো অবহেলা কেন?' জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা বলছেন, 'হালদিপাড়া হাই স্কুলের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে অব্যবস্থার কোনও অভিযোগ আসে নি। ওখানে পরিযায়ী শ্রমিকদের কি সমস্যা হচ্ছে তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে'।
শরদিন্দু ঘোষ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Coronavirus, Migrant workers, Purba bardhaman, Quarantine center