বীরভূম: বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে আসার কথা রাষ্ট্রপতির। কিন্তু সাপের উপদ্রব নিয়ে চিন্তা। আর তাই সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আগে বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীতে গেলেল সাপুড়েরা! তবে গ্রামবাংলায় ঘুরে বেড়ানো সাপুড়েরা নয়, এরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্নেক ক্যাচার টিম।
২৮ মার্চ বিশ্বভারতীর সমাবর্তন হবে। এবারের সমাবর্তনে সশরীরে যোগ দেওয়ার কথা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। আর তাই নিরাপত্তায় বিন্দুমাত্র ফাঁক রাখতে নারাজ ডিরেক্টর অফ সিকিউরিটি, জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। রাষ্ট্রপতি সমাবর্তনে এসে বিশ্বভারতী ছাড়াও শান্তিনিকেতনের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখতে পারেন। আর তাই এই সময় গোটা শান্তিনিকেতনকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে নিরাপত্তার অন্যান্য বিষয় সামলাতে দক্ষ হলেও বিষাক্ত সর্পকূলকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন তা জানা নেই দুঁদে পুলিশ কর্তাদের। সেই কারণেই সাপুড়েদের শরণাপন্ন হয়েছে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে আবার হাতির হানা, নষ্ট লক্ষ লক্ষ টাকার ফসল
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বভারতীর রবীন্দ্রভবনে বিষধর সাপের উপদ্রব রয়েছে। জঙ্গল ঘেরা লালবাঁধ, পম্পা লেকেও রয়েছে বিষধর সাপের উপস্থিতি। এছাড়াও শ্যামলী, উদয়ন ও কোনার্কের মত ঐতিহ্যবাহী ভবনগুলির আশেপাশেও মাঝে মধ্যেই সাপ দেখা যায়। এই সমস্ত জায়গাগুলি ঠান্ডা ও স্যাতস্যাতে হওয়ার কারণে সাপ থাকার আদর্শ পরিবেশ গড়ে উঠেছে। আর তাই সাপের উপদ্রব রুখতে স্নেক ক্যাচার টিমের ডাক পড়ে।
বন দফতরের এডিএফও শ্রীকান্ত ঘোষ জানান, বুধবার তিনি নিজে গিয়ে বিশ্বভারতীর পরিস্থিতি দেখে এসেছেন। উদয়ন ভবন, কলাভবন সহ বেশ কিছু জায়গায় সাপ আছে। প্রচুর গাছপালা ও জঙ্গল থাকার কারণে ঐ সমস্ত জায়গায় সাপের আড্ডা গড়ে উঠেছে। তাই বৃহস্পতিবার বন দফতরের বিশেষজ্ঞ টিমকে বিশ্বভারতীতে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা গোটা জায়গাটা ভালো করে খতিয়ে দেখবেন। তারপর যা যা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার বন দফতরের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে। এই টিম বৃহস্পতিবার থেকে টানা বিশ্বভারতী চত্বরেই থাকবে। রাষ্ট্রপতির সফর শেষ হওয়ার পর তাঁরা আবার নিজেদের কর্মস্থলে ফিরে যাবেন বলে জানা গিয়েছে।
শুভদীপ পাল
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।