কাঁথি: খাতায় কলমে তিনি এখনও তৃণমূলের সাংসদ৷ সেই বর্ষীয়ান রাজনীতিক শিশির অধিকারীর কণ্ঠে এবার নিজের ছেলে এবং বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর দরাজ প্রশংসা৷
স্বভাবতই, শিশিরবাবুর এমন মন্তব্যে নতুন করে বাড়ছে দল বদলের জল্পনা৷ আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন৷ এখনও কাঁথির তৃণমূল সাংসদ পদে রয়েছেন শিশিরবাবু৷ আর তাঁর এই মন্তব্যের জেরে স্বভাবতই জল্পনা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'বিদেশে গিয়ে ছুটি কাটান, একদম বিশ্রামে থাকুন,' অমর্ত্য সেনকে নিশানা শুভেন্দুর
বৃহস্পতিবার কাঁথির একটি সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে যান শিশির অধিকারী। সেখানে প্রবীণ সাংসদ বলেন, 'নিজের ছেলে বলে বলছি না৷ শুভেন্দুকে জন্ম দিয়েছে কাঁথি৷ আর এখান থেকে গিয়ে ও (শুভেন্দু) বাংলার মানুষকে আলো দেখাচ্ছেন। সর্বস্ব দিয়ে গণতন্ত্র রক্ষা করার চেষ্টা করছে৷' মেজো ছেলে শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা করার পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকারও তীব্র সমালোচনা করেন কাঁথির তৃণমূল সাংসদ। পুলিশকে তৃণমূলের দলদাস বলে কটাক্ষ করেন তিনি।
পুলিশের সমালোচনা করে শিশির অধিকারী বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারীর নামে যদি ২৮ টি মামলা হয়, সৌমেন্দু অধিকারীর নামে ১০ টি মামলা হয়, তাহলে রামের (শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা) নামে ৪ টে মামলা হয়! গত এক দেড় বছর ধরে কাঁথি শহরে পুলিশকে স্যালুট করে চলতে হয়। পুলিশের বড়বাবুটা ভাল কাজ করছেন। কেউ কোথাও অন্য পার্টি করলে তাকে ডেকে আনছেন, হাজির করাচ্ছেন। চমকাচ্ছেন! পয়সার তো একবারে বন্যা বইছে।'
২০২০ সালে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর থেকেই শিশির অধিকারী এবং দিব্য়েন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক কার্যত ছিন্ন হয়েছে। যদিও খাতা কলমে এখনও দু' জনেই তৃণমূল সাংসদ। দলত্য়াগ বিরোধী আইনে শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের জন্য় লোকসভার স্পিকারের কাছে আবেদনও জানিয়েছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের 'হাতেখড়ি' অনুষ্ঠান 'বয়কট' শুভেন্দু অধিকারীর! সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন 'এই' কারণ
এই পরিস্থিতিতে আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনে কাঁথি এবং তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের লড়াইয়ের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল। গতকাল শিশির অধিকারীর মন্তব্য়ের পর কাঁথিতে এই রাজনৈতিক লড়াই নিয়ে চর্চা আরও বেড়েছে।
শিশিরবাবুর কাছ থেকে আমরা এটাই আশা করি। পুজো মণ্ডপে গিয়ে পরিবারের প্রশংসা করেছেন। শুভেন্দু অধিকারীকে তিনিই জন্ম দিয়েছেন, কিন্তু রাজনীতিক শুভেন্দু অধিকারীকে প্রতিষ্ঠা, পরিচয় দিয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ২০০১ সালে, ২০০৪ সালে শুভেন্দু অধিকারী ভোটে হারিয়ে পরাজিত হয়েছিলেন। তাঁর উপরে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় আস্থা না রাখলে আজ তিনি শুভেন্দু অধিকারী হতে পারতেন না। শিশিরবাবু ছেলেকে নিয়ে গর্ব করছেন ঠিক আছে। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর মতো এত বড় গদ্দার, বেইমান বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেননি।'
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Sisir adhikari, Suvendu Adhikari