#রামনগর: অখিলের গড়ে রোড শো করে শক্তি প্রদর্শন করলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে রামনগরে রোড শো করলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর এই রাজনৈতিক কর্মসূচীর জন্যে তিনি বাছাই করে নিয়েছিলেন দীঘা'কে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই জায়গা বাছাইয়ের অন্যতম কারণ হল, প্রথমত মেদিনীপুর জেলায় বরাবর অধিকারী পরিবারের বিরোধিতা করে এসেছে গিরি পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। দ্বিতীয়ত দীঘার মতো জায়গা বাছাই করার উদ্দেশ্য, সপ্তাহের শেষে বহু মানুষ সমুদ্র শহরে বেড়াতে আসেন। সেখানে রোড শো করলে অনেক মানুষের কাছে পৌছনো যায়। যা জনসংযোগের একটা বড় কাজ করে। সে কারণেই এই রুট বাছাই করা হয়েছে।
এদিন শুভেন্দুর রোড শো ঘিরে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে যেমন উৎসাহ ছিল তেমনই পর্যটক পূর্ণ দীঘায় সাধারণ মানুষ রাস্তার দুধারে, হোটেলের ছাদে বা বারান্দায় তারা ভিড় জমিয়েছিলেন উৎসাহ নিয়ে। তবে রোড শো করে জনসংযোগ সারলেও নিজের ছেড়ে আসা দলকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি শুভেন্দু।অখিল গিরি'দের গড়ে সভা করে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেও একবারের জন্যেও তাদের নাম মুখে নেননি শুভেন্দু অধিকারী। এদিন শুভেন্দু অধিকারী রোড শো শুরু করেন দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের অফিসের সামনে থেকে। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই এই পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হয় কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীকে। এদিন শুভেন্দু অধিকারী যদিও শিশির অধিকারীর দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও ভোটের ব্যবধানে অনেক কম ফারাক থাকা বিজেপির সাথে, সেই অঙ্ক তুলে ধরেন।
এদিন শুভেন্দু বলেন, "গত লোকসভা ভোটে শিশিরবাবুর মতো বটবৃক্ষ মাত্র ৫০০০ ভোটের ফারাকে ছিলেন। এখন আমি চলে এসেছি এখানে বিজেপিকে ২৫০০০ ভোটের লিড দিতে হবে।" একই সাথে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, দীঘার এই এলাকা তিনি হাতের তালুর মতো চেনেন। ফলে এখানের দূর্নীতির খবর তার কাছে আছে। সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু জানিয়েছেন, "আগে সাইকেল চাপত, বিড়ি খেত তারা এখন ৫০-১০০ কোটির মালিক। এই সব মালেদের এবার তাড়াতে হবে।" দীঘায় হকার, হোটেল কর্মচারী যারা আছেন তারা বিরোধী দল করলেই তাদের ওপর খাঁড়া নেমে আসছে বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। বিজেপির মতে এদিন শুভেন্দুর রোড শো'তে প্রায় হাজার দশেক কর্মী ভিড় জমিয়েছিলেন।
ABIR GHOSHAL