সাপের ছোবলের পরও কর্তব্যে অবিচল, স্টেথোস্কোপ ছাড়েন নি চিকিৎসক! নজির পুরুলিয়ায়

Last Updated:

পুরুলিয়ার চিকিৎসক আব্দুল খালেক লস্কর গড়লেন এক অনন্য দায়িত্ববোধ ও সাহসিকতার নজির। সাপের ছোবলের পরও দেখলেন রোগী

সাপের ছোবল খেয়েও থেমে থাকেনি সেবার ব্রত, চিকিৎসকের অনন্য দায়িত্ববোধ!
সাপের ছোবল খেয়েও থেমে থাকেনি সেবার ব্রত, চিকিৎসকের অনন্য দায়িত্ববোধ!
পুরুলিয়া, শান্তনু দাস: পুরুলিয়া জেলার সাঁতুড়ি ব্লকের মুরাডি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসক আব্দুল খালেক লস্কর গড়লেন এক অনন্য দায়িত্ববোধ ও সাহসিকতার নজির। ঝোপঝাড় ঘেরা কোয়ার্টারের বাইরে জল আনতে গিয়ে সাপের ছোবল খাওয়ার পরও তিনি দিনের বাকি সময়টুকু স্বাভাবিকভাবেই রোগী দেখলেন। একজন চিকিৎসকের এমন মানবিকতা ও পেশাদারিত্বে মুগ্ধ হলেন এলাকার মানুষজন।
জানা যায়, ঝোপঝাড়ে ঘেরা আবাসনের বাইরে জল আনতে গিয়েছিলেন চিকিৎসক আব্দুল। সেই সময় হঠাৎ অজ্ঞাত একটি সাপ তার বাঁ পায়ের পাতায় ছোবল মারে। এমন অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে নিজের চিকিৎসা করান। টিটেনাস ইনজেকশন সহ প্রয়োজনীয় ঔষধ পত্র দেওয়ার পর চিকিৎসক ২৪ ঘন্টা পর্যবেক্ষণে থাকার জন্য পরামর্শ দেন তাকে। এমন সময় তার কাছে ফোন আসে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রচুর রোগী চিকিৎসার জন্য অপেক্ষা করছে তার জন্য। আর চুপচাপ বসে থাকতে পারেন নি তিনি। সেই মুহূর্তে ব্যক্তিগত অসুস্থতা নয়, পেশাগত দায়িত্বকেই অগ্রাধিকার দেন ডাক্তার লস্কর। নিজেকে সামলে নিয়ে তিনি সোজা চলে যান আউটডোরে এবং যথারীতি সারাদিন রোগী দেখেন।
advertisement
advertisement
পুরুলিয়ার ওই চিকিৎসক আব্দুল খালেক লস্কর জানান, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ঝোপঝাড়ে জল আনতে গিয়ে হঠাৎ অজ্ঞাত একটি সাপ আমার বাঁ পায়ের পাতায় ছোবল মারে। সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ফিরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিই। প্রথমে কিছুটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তবে যখন শুনলাম চিকিৎসার জন্য বহু রোগী অপেক্ষা করছেন আমার জন্য, তখন আর এক মুহূর্ত বসে থাকতে পারিনি। নিজেকে সামলে নিয়েই কাজে নেমে পড়ি।”
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জানা যায়, ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে ডাক্তার আব্দুল খালেক লস্কর মুরাডি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেন। সেই সময় থেকেই তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে রোগীদের সেবা করে আসছেন। তার আন্তরিকতা, সহানুভূতি এবং মানবিক মনোভাব তাকে এলাকার মানুষের হৃদয়ে স্থান করে দিয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, “তিনি শুধু একজন চিকিৎসক নন, বরং একজন পরম বিশ্বস্ত অভিভাবকের মতোই পাশে থাকেন সকলের।” চিকিৎসক আব্দুল খালেক লস্করের এই সাহসিকতা ও দায়িত্ববোধ নিঃসন্দেহে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যা সমাজে পেশাগত নিষ্ঠা ও মানবিকতার নতুন মানদণ্ড স্থাপন করল।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
সাপের ছোবলের পরও কর্তব্যে অবিচল, স্টেথোস্কোপ ছাড়েন নি চিকিৎসক! নজির পুরুলিয়ায়
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement