Siksha Ratna: পূর্ব মেদিনীপুরের গর্ব, শিক্ষারত্ন পেলেন ২ শিক্ষক! কেন জানলে গর্বে বুক ভরে যাবে

শিক্ষক দিবস হিসাবে শিক্ষকদের সম্মান জানাতে রাজ্য থেকে দেওয়া হয় শিক্ষারত্ন পুরস্কার। শিক্ষারত্ন পুরস্কার পেতে চলেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দুই শিক্ষক। শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এই বিশেষ সম্মান পাচ্ছেন জেলার দুই শিক্ষক।

পাঁশকুড়ার ঘোষপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুপ্রতিম মান্না এবং নন্দকুমারের নাইকুণ্ডি মক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ আব্দুস সাত্তারের। এ বছর এই দুই শিক্ষক এই শিক্ষারত্ন পুরস্কার পেলেন। কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের এই শিক্ষারত্ন প্রদান করেন।

পাঁশকুড়ার ঘোষপুর হাই স্কুলের একসময় ছাত্র ছিলেন সুপ্রতিমবাবু। নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত এই স্কুলে পড়েছেন তিনি। ২০০২ সালে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত হলেও ২০২৪ সাল থেকে ঘোষপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন তিনি। এর আগে নন্দকুমারের মল্লিকচক অমরস্মৃতি বিদ্যাপীঠ ও খড়্গপুরের জফলা আদর্শ বিদ্যায়তনের শিক্ষক ছিলেন তিনি।

১১ বছর ধরে তিনি স্কুলের একাধিক উন্নয়ন ও সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর হাত ধরে এই স্কুলে চালু হয়েছে স্মার্ট ক্লাসঘরের। একসময় স্কুলের হস্টেল প্রায় শূন্য হয়ে গিয়েছিল। সেখানেই সুপ্রতিমবাবুর হাত ধরে আজ সেই হস্টেলে আশেপাশের জেলা থেকেও ছাত্র-ছাত্রীরা থেকে পড়াশোনা করছেন। ক্রীড়া ক্ষেত্রেও রাজ্য এবং জেলাস্তরে সুপ্রতিমবাবুর নেতৃত্বে এই স্কুল শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার ছিনিয়ে এনেছে।

সংখ্যালঘু এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামের বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নজির গড়েছেন শেখ আব্দুস সাত্তার। তিনি ২০০৮ সালের পর থেকে নাইকুন্ডি মক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার। তাঁর নেতৃত্বেই এই প্রাথমিক বিদ্যালয় পেয়েছে নির্মল বিদ্যালয়, জেলার সেরা বিদ্যালয়, স্বচ্ছ বিদ্যালয়ে এবং শিশু মিত্র পুরস্কারের মতো একাধিক সম্মান। স্কুলছুট কমাতে দিনের পর দিন এই গ্রাম থেকে ও গ্রাম ছুটে বেড়ান এই শিক্ষক।

দুই শিক্ষারত্ন সুপ্রতিম মান্না এবং শেখ আব্দুস সাত্তার বলেন, “এই পুরস্কার থেকে সমাজ এবং স্কুলের জন্য আরও দায়িত্ব বেড়ে গেল।” পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শিক্ষা দীক্ষায় এগিয়ে। আর সেই জেলায় এই দুই শিক্ষক শিক্ষারত্ন সম্মান পাওয়ায় খুশি শিক্ষক মহল থেকে ছাত্রছাত্রীরা।