Purba Bardhaman News: হাতের ছোঁওয়ায় প্রাণ পায় ছবি, খেলনা, অথচ নিজের পায়ে দাঁড়ানোর শক্তি নেই, তবুও এগোতে চায় ...
- Published by:Debalina Datta
- hyperlocal
- Reported by:BONOARILAL CHOWDHURY
Last Updated:
Purba Bardhaman News: হাঁটার শক্তি নেই এই নবম শ্রেণির পড়ুয়ার! হাতে রয়েছে বিশেষ দক্ষতা
পূর্ব বর্ধমান: অদম্য জেদ আর ইচ্ছা শক্তি থাকলে হয়তো সব কিছুই জয় করা সম্ভব। সেরকমই শুধুমাত্র মনের জোরে এবং প্রবল ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে চলেছে সৌমেন। পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ার দেপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সৌমেন প্রধান। এই সৌমেনের গল্প শুনলে আপনারাও অবাক হবেন। শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে চলেছে ছেলেটি। জানা গিয়েছে সৌমেন পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাট স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। শারীরিক প্রতিবন্ধকতার জেরে সে স্কুলেও যেতে পারেনা।
তবে স্কুলে না গেলেও সে নিজের পড়াশোনায় কোনও খামতি রাখেনি । রীতিমত বাড়িতেই চলে তাঁর পড়াশোনার চর্চা । শুধুমাত্র পরীক্ষার সময় স্কুলে গিয়ে তাকে পরীক্ষা দিতে হয় । পরিবারের কথায়, পরীক্ষায় সৌমেন খুব খারাপ ফলাফল করে না। এই প্রসঙ্গে সৌমেনের মা রূপা প্রধান বলেন, সৌমেন আগে স্বাভাবিক ছিল । পাঁচ বছর আগে নার্ভের রোগের পর থেকে এরকম হয়ে গিয়েছে । প্রচুর ডাক্তার দেখানোর পরেও কোনও সুরাহা হয়নি। এখন বাড়িতেই থাকে, বাইরে নিয়ে গিয়ে ডাক্তার দেখানোর সামর্থ্য নেই ।
advertisement
advertisement
সৌমেন একদম হাঁটতে পারে না। সারাদিন সে বাড়িতেই থাকে । অন্যান্য ছেলেদের মত বাইরে খেলাধুলোও করতে পারেনা। তবে বাড়িতে সে বসে থাকেনা। সৌমেনের দুটো পা অচল হলেও তাঁর হাতে যেন বিশেষ দক্ষতা রয়েছে । বাড়িতে বসেই সে ছবি আঁকে। তাঁর হাতের আঁকা ছবি সত্যিই বেশ সুন্দর। তবে সৌমেন কোথাও ছবি আঁকা শেখেনি । বাড়িতে বসে নিজের মনেই সুন্দর সুন্দর ছবি আঁকে । ছবি আঁকার সঙ্গে ছোটখাট হাতের কাজও সে করতে পারে।
advertisement
সম্পূর্ণ নিজের দক্ষতায় বানিয়েছে কাগজের ফুলদানি আবার কখনও কাগজের লুডো। তবে হাতের কাজের দক্ষতা থাকলেও, পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার জন্য পড়াশোনায় একটু হলেও ভাটা পড়তে শুরু করেছে । এই প্রসঙ্গে ঠাকুমা দয়াময়ী প্রধান বলেন , ” অন্যান্য বাচ্চাদের মত স্কুলে যেতে পারেনা । আমাদের ছেলে এরকম,আমরা খুবই দুঃখে থাকি । যদি কোনও রকম সাহায্য পাওয়া যায় তাহলে খুবই উপকার হয় । “
advertisement
সৌমেন স্কুল যেতে পারে না এটা একদম ঠিক কথা। শুধুমাত্র পরীক্ষার সময় গাড়ি ভাড়া করে তাঁকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যায় তার বাড়ির লোক । তবে অন্যান্য পড়ুয়াদের মত সৌমেনেরও প্রতিদিন স্কুলে যেতে ইচ্ছা করে । কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই । যাতায়াতের জন্য সৌমেনের একটি হুইল চেয়ারের প্রয়োজন। তবে পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা হয়নি তাঁর জন্য । এই প্রসঙ্গে সৌমেন আক্ষেপের সঙ্গে জানায়, তাঁরও ইচ্ছা করে স্কুলে যেতে । শুধুমাত্র হুইল চেয়ারের কারণে সে স্কুলে যেতে পারছে না । হুইল চেয়ার পেলে সে আবার স্কুলে যাবে , ভালভাবে পড়াশোনা করবে ।
advertisement
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌমেনের হুইল চেয়ারের জন্য একাধিকবার স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং নির্দিষ্ট ব্লকে জানানো হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। যদি একটা হুইল চেয়ার সৌমেনের থাকত, তাহলে হয়তো বাকি পাঁচজনের মত সৌমেনও একটু স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারত। শুধুমাত্র হুইল চেয়ারের অভাবে থমকে রয়েছে সৌমেনের যাতায়াত।
Banowarilal Chowdhary
Location :
Kolkata,Kolkata,West Bengal
First Published :
February 16, 2024 4:54 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Purba Bardhaman News: হাতের ছোঁওয়ায় প্রাণ পায় ছবি, খেলনা, অথচ নিজের পায়ে দাঁড়ানোর শক্তি নেই, তবুও এগোতে চায় ...