জাঁকিয়ে শীতের দেখা নেই, ঘন কুয়াশা, ধসা রোগের ফলে আলুচাষে বিপাক! আতঙ্কিত চাষিরা

Last Updated:

চাষিদের দাবি, এ রকম আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জেরে আলু গাছ বাঁচিয়ে রাখা বা ধসা রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে অতিরিক্ত খরচ করে কীটনাশক স্প্রে করে যেতে হচ্ছে।

#মেদিনীপুর: জাঁকিয়ে শীতের দেখা নেই, উল্টে ঘন কুয়াশা আর মেঘলা আবহাওয়া, যা আলু চাষের পক্ষে ক্ষতিকর। আলু চাষে এমন আবহাওয়া আলুর ধসা রোগের কারণ। দুঃশ্চিন্তায় চাষিরা। কীটনাশক স্প্রে করে ধসা রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে গিয়ে খরচের বহর বাড়ছে চাষিদের। আলু চাষের এমন প্রতিকূল আবহাওয়ায় গাছ বাঁচাতে প্রতিকার বাতলে দিচ্ছে কৃষি দফতর।
ঘন কুয়াশায় ভরে থাকছে আকাশ। এমন আবহাওয়া আলু চাষের পক্ষে মোটেও ভাল না, এমনই জানাচ্ছেন কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা। এই ঘন কুয়াশা থেকেই আলু গাছে দেখা দিতে পারে ধসা রোগ-সহ বিভিন্ন ছত্রাক জাতীয় রোগ, হতে পারে পোকার আক্রমণ। এমনই আশঙ্কা করছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার আলু চাষিরা। আলু চাষের ক্ষেত্রে এমন বিরূপ আবহাওয়া দেখে কপালে চিন্তার ভাঁজ আলু চাষিদের।
advertisement
advertisement
তাই ধসা রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ইতিমধ্যে মাঠ জুড়ে চলছে কীটনাশক স্প্রে করার কাজ। চাষিদের দাবি, এই ঘন কুয়াশা প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলছে। রোদের দেখা নেই। রয়েছে মেঘলা আবহাওয়া। এই কুয়াশা ক্ষতি করবে আলু গাছের। পাতা পচিয়ে দেবে। তা থেকে গোটা গাছে পচন আসবে। পাশাপাশি আলু গাছে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে। এই আবহাওয়া চলতে থাকলে ধসা রোগের দেখা দেবে। আর তাতে আলু গাছ বাঁচিয়ে রাখা মুশকিল হয়ে যাবে।
advertisement
চাষিদের আরও দাবি, এবছর আলু বীজের দাম ছিল চড়া। পাশাপাশি রাসায়নিক সারও দ্বিগুণ দাম দিয়ে কিনে আলু লাগাতে হয়েছে। বর্তমানে এই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার জেরে আলু গাছ বাঁচিয়ে রাখা বা ধসা রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে অতিরিক্ত খরচ করে কীটনাশক স্প্রে করে যেতে হচ্ছে। আলু চাষে তাঁদের কাছে অতিরিক্ত খরচের বোঝা চাপছে।
advertisement
জেলার পাশাপাশি ঘাটাল মহকুমার চন্দ্রকোনা, ঘাটাল ও দাসপুর জুড়ে অর্থকারী ফসল হিসাবে আলু চাষের রমরমা, এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।কিন্তু ধসা রোগের অনুকূল আবহাওয়া তৈরি হওয়ায় উদ্বিগ্ন মহকুমার আলু চাষিরা। ইতিমধ্যে চন্দ্রকোনার সীতানগর, ঢলবাঁধ, ফাঁসিডাঙ্গা, পিয়ারডাঙ্গা বসনছোড়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় মাঠে আলু গাছের বয়স ৩০ দিন অতিক্রম করেছে। বেশ কিছু জমিতে আলু গাছ কুঁকড়ে গিয়েছে, গাছের পাতা শুকিয়ে গিয়েছে, আবার কোনও জমিতে গাছের বৃদ্ধি সঠিকভাবে হয়নি।জাঁকিয়ে শীত আর রোদ ঝলমলে আবহাওয়া আলু চাষের পক্ষে খুবই অনুকূল। শীতের মরশুম হলেও এবছরের শুরু থেকেই শুষ্ক পরিষ্কার আবহাওয় বা শীত সেরকম ভাবে পড়েনি। যদিও কয়েক দিন ধরে শীতের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কিন্তু ঘন কুয়াশা ও মেঘলা আকাশও রয়েছে। আর তাতেই দুশ্চিন্তা বেড়েছে আলু চাষিদের।
advertisement
কুয়াশা কাটিয়ে দ্রুত আলু চাষের অনুকুল আবহাওয়া ফেরার আশায় রয়েছে চাষিরা। আলু চাষের পক্ষে এমন আবহাওয়া যে মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়, তা মানছেন কৃষি দফতর। তবে চাষিদের আগাম সতর্কতামুলক বেশ কিছু করণীয় বিষয় বাতলে দিয়েছে কৃষি দফতর। এবিষয়ে চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা এস মাসান্ত বলেছেন, ''শীত তেমন ভাবে জাঁকিয়ে পড়েনি। যদিও এক-দু’দিন শীতের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, বাতাসও বইছে।তবে এই ক'দিন কুয়াশাচ্ছন্ন ভাব এবং মেঘলা আবহাওয়া রয়েছে। এরকম যদি নিয়মিত চলতে থাকে তাহলে ধসা রোগের প্রাদুর্ভাবের একটা সম্ভাবনা রয়েছে, তবে ব্লকে এখনও তেমন ভাবে এই রোগের দেখা মিলেনি। তবে এই আবহাওয়া ধসা রোগের অনুকূল পরিবেশ। তা দেখা দিলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ।''
advertisement
একেই এবছর আলু বীজ থেকে রাসায়নিক সারের অগ্নিমুল্য দাম উপেক্ষা করেই চাষ করেছে কৃষকরা। আলু ফলনের মাঝে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে ধসা রোগের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে নিয়মিত কীটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে ফলে অতিরিক্ত খরচের বোঝা চাপছে আলু চাষিদের মাথায়। এসব সামলে আদৌ লাভের মুখ দেখবে তো তারা? সন্দিহান আলু চাষিরা।
advertisement
সুকান্ত চক্রবর্তী
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
জাঁকিয়ে শীতের দেখা নেই, ঘন কুয়াশা, ধসা রোগের ফলে আলুচাষে বিপাক! আতঙ্কিত চাষিরা
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement