জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবই সামলাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক! ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিলে স্কুলছুট তিন 'মাস্টার', ৭০০ পড়ুয়ার স্কুল বন্ধের পথে
- Published by:Aishwarya Purkait
- local18
Last Updated:
Pathar Pratima High School: ২০১৬ সালের শিক্ষক প্যানেল বাতিল হওয়ার পরে এই স্কুল থেকে চলে যান তিনজন শিক্ষক। তারপর শিক্ষকের অভাবে বন্ধের পথে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা পাথরপ্রতিমা ব্লকের পশ্চিম শ্রীপতিনগর ডাঃ বি সি রায় মেমোরিয়াল বিদ্যাপীঠের।
পাথরপ্রতিমা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বিশ্বজিৎ হালদার: ৭০০ ছাত্রছাত্রীর জন্য বরাদ্দ একজন মাত্র শিক্ষক। স্কুলের পঠন পাঠান একেবারে বন্ধ হওয়ার জো। এমনই করুণ পরিস্থিতি প্রত্যন্ত দ্বীপের একটি মাত্র হাইস্কুলের। ২০১৬ সালের শিক্ষক প্যানেল বাতিল হওয়ার পরে এই স্কুল থেকে চলে যান তিনজন শিক্ষক। তারপর শিক্ষকের অভাবে বন্ধের পথে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা পাথরপ্রতিমা ব্লকের পশ্চিম শ্রীপতিনগর ডাঃ বি সি রায় মেমোরিয়াল বিদ্যাপীঠের। একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
পাথর প্রতিমা ব্লকের অচিন্ত্য নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের কে প্লট এলাকা চতুর্দিকে নদীবেষ্টিত দ্বীপ অঞ্চল। এই দ্বীপে দুটি হাই স্কুল যার মধ্যে একটি বালিকা বিদ্যালয় ও অপরটি শ্রীপতিনগর ডাঃ বি সি রায় মেমোরিয়াল বিদ্যাপীঠ। যা পঞ্চম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত রয়েছে। স্কুলটির ছাত্র সংখ্যা প্রায় ৭০০ জন। এই মুহূর্তে একজন প্রধান শিক্ষক কোনরকমভাবে দু’জন প্যারাটিচার নিয়ে স্কুলটি পরিচালনা করছেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আলিপুর চিড়িয়াখানায় জোড়া বাঘিনীর মৃ*ত্যু! কী হয়েছিল পায়েল-রূপাদের? তদন্তে কমিটি গঠন
শিক্ষকের অভাবে প্রত্যন্ত দ্বীপ অঞ্চলের একটি মাত্র হাই স্কুল বন্ধ হবার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীরা। পাশাপাশি স্কুলে রয়েছে শ্রেণিকক্ষের অভাব। শ্রেণিকক্ষের জন্য আবেদন করেও মেলেনি কোন সুরাহা। স্কুলের ক্লাসে পড়ছে জল। যেকোনো মুহূর্তে দেওয়াল খসে পড়ে অঘটন ঘটার সম্ভাবনা। তা সত্ত্বেও চলছে স্কুল।
advertisement
advertisement

স্কুলের ঘণ্টা বাজানো থেকে শুরু করে পড়ানো, পরিদর্শন সবই করতে হয় একা প্রধান শিক্ষককে
আরও পড়ুনঃ দীর্ঘদিনের জল সঙ্কটের সমাধান! ‘অম্রুত’ প্রকল্প ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবে পরিশ্রুত পানীয়, খুশির হাওয়া রঘুনাথপুরে
স্কুলে রয়েছেন দু’জন প্যারাটিচার। প্যারাটিচারদের উপরে নির্ভর করে স্কুল চালানো অসম্ভব। বর্তমানে স্কুলে কোন গ্রুপ সি কিংবা গ্রুপ ডি কর্মী নেই। যার ফলে প্রধান শিক্ষককেই দিতে হয় স্কুল চালু হবার ঘণ্টা, ক্লাস শেষ হবার ঘণ্টা, টিফিনের ঘণ্টা থেকে শুরু করে ছুটি হওয়ার ঘণ্টা। অবশ্য তিনি যদি স্কুলে থাকেন তবে।
Location :
Kolkata [Calcutta],Kolkata,West Bengal
First Published :
September 11, 2025 12:43 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবই সামলাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক! ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিলে স্কুলছুট তিন 'মাস্টার', ৭০০ পড়ুয়ার স্কুল বন্ধের পথে