Birbhum News: ভরা সংসার নিয়ে সুখেই কাটছিল জীবন, হঠাত্‍ কী হল? তারাপীঠের ভিক্ষুক এই বৃদ্ধার উপার্জনের টাকা দিয়ে যা করেন...

Last Updated:

দীর্ঘ ১৩টি বছর ধরে মন্দিরের বাইরে ভিক্ষাবৃত্তি করে এই বৃদ্ধা যা করেন শুনলে অবাক হবেন আপনিও

+
ভরা

ভরা সংসার নিয়ে সুখেই কাটছিল জীবন, হঠাত্‍ কী হল? ভিক্ষাবৃত্তির অর্থ যা করেন বৃদ্ধা...

বীরভূম:  বীরভূমের মানচিত্রে অন্যতম সিদ্ধপীঠ হিসেবে পরিচিত সাধক বামাক্ষ্যাপার তারাপীঠ। প্রত্যেকদিন হাজার হাজার মানুষ ভক্ত করেন এই তারাপীঠে। বর্তমানে এই তারাপীঠ অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার লজ হোটেল ব্যবসা। বহু দুরন্ত থেকে মানুষজন এখানে কাজকর্ম করে নিজেদের জীবন যাপন করেন। আর সমস্ত তীর্থক্ষেত্রের বাইরে গেলেই লক্ষ্য করা যায় সারি সারি দিয়ে মানুষজন ভিক্ষাবৃত্তি করছে দুবেলা দু’মুঠো নিজেদের পেটের খাবার যোগাড় এর জন্য।
তারাপীঠ মন্দিরের বাইরেও এই একই চিত্র দেখা যায়। তবে তারাপীঠ মন্দিরের বড় গেটের সিঁড়ি দিয়ে উঠলেই নজরে আসবে এক বৃদ্ধ মহিলা। পরনে সাদা শাড়ি চোখে চশমা হাতে একটি বই এবং তার সামনে রয়েছে একটি বাটি। এভাবে প্রত্যেকদিন তিনি ওই মন্দিরের উপর এসে বসেন ভিক্ষাবৃত্তি করার জন্য।
advertisement
advertisement
কোনও সহৃদয় ব্যক্তি তাকে দেখে তার বাটিতে দু টাকা,পাঁচ টাকা,দশ টাকা,ভিক্ষা দান করেন। আবার অনেকে রয়েছে তাকে দেখে না দেখার ভান করে এড়িয়ে চলে যান। তবে তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে যে টাকা উপার্জন করে সেই টাকা কোন কাজে লাগান? জানলে অবাক হয়ে উঠবেন আপনি।
advertisement
নদীয়ার দত্তপুলিয়ার বাসিন্দা আনুমানিক বছর ৭০ এর শান্তিলতা বোস।বাড়িতে রয়েছে ছেলে,বৌমা এবং একটি মাত্র নাতনি। সুখেই কাটছিল ছেলে বৌমার সঙ্গে শান্তির জীবন। তবে হঠাৎ কেন এই বৃদ্ধাকে আজ ভিক্ষা করতে হচ্ছে?
আমাদের এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি আমাদের জানান ” আমার বাড়ি নদীয়াতে। আজ থেকে ১৩ বছর আগে একদিন আমি আমার ছেলেকে জানাই আমি আমার ছোট মেয়ের বাড়ি যাবো। সেই বলে আমি স্টেশনে এসে ‘মা তারা এক্সপ্রেস’ ট্রেন ধরে সোজা পৌঁছে যায় রামপুরহাট আর সেখান থেকে তারাপীঠ।পরিবারের সঙ্গে কোনও ঝামেলা নেই আমার। তারা আমাকে যথেষ্ট ভালোবাসে কিন্তু আমি মা তারার টানে তারাপীঠে ছুটে এসেছি। আমাকে আমার ছেলে তারাপীঠ থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছিলেন কিন্তু আমি যাইনি, আমার ইচ্ছে আমার শেষ জীবন আমি মা তারার কাছেই কাটাবো।”তবে তিনি তার উপার্জিত অর্থ দিয়ে কি করেন জানতে চেয়েছিলাম আমরা।
advertisement
আমাদের প্রশ্নে তার উত্তর চমকে দেবে সকলকে। তিনি আমাদের জানান সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত তিনি যে টাকা উপার্জন করেন সেই সমস্ত টাকায় তিনি ভোরবেলায় মঙ্গল আরতির পর এবং সন্ধ্যাবেলায় সন্ধ্যা আরতির পর মা তারাকে ফুলের মালা দিয়ে পুজো করে থাকেন।
কখনও কখনও ভিক্ষা করা অর্থের পরিমাণ বেশি হলে সেই টাকা দিয়ে তিনি শাড়ি কিনে মা তারাকে নিবেদন করেন। একটি টাকাও তার নিজের জন্য রাখেন না।সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত মন্দিরের বিভিন্ন সেবায়েতরা আবার কখনও পর্যটকরা তাঁকে খাবার দিয়ে থাকেন। এভাবেই দিব্যি সুন্দর কাটছে মা তারার কোলে তার জীবন।
advertisement
সৌভিক রায়
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Birbhum News: ভরা সংসার নিয়ে সুখেই কাটছিল জীবন, হঠাত্‍ কী হল? তারাপীঠের ভিক্ষুক এই বৃদ্ধার উপার্জনের টাকা দিয়ে যা করেন...
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement