West Medinipur News: 'কে আবার বাজায় বাঁশি, এ ভাঙা কুঞ্জ বনে...' রাত হলেই 'মধুর ধ্বনি', মন-ছোঁয়ানো এক গল্প

Last Updated:

মূলত পেশা হিসেবে বেছে নিতেই তিনি হাতে তুলে নিয়েছিলেন বাঁশের বাঁশি। পরে তা শখে পরিণত হয়।

+
নাইটগার্ড

নাইটগার্ড

পশ্চিম মেদিনীপুর: কাজ করেন একটি কলেজের নাইট গার্ড হিসেবে। গোটা রাত প্রায় জেগেই থাকতে হয় তাঁকে। নজরদারি করতে হয় গোটা কলেজকে। তবে এই গোটা রাতের ভরসা তার বাঁশি। রাত হলেই কলেজের কোনও এক প্রান্ত থেকে ভেসে আসে মিষ্টি এক বাঁশির সুর। যেন আপন খেয়ালে নিজের মনের আনন্দে বাজান কেউ। কখনও রবীন্দ্র সংগীত, কখনও নানান লোকগীতির আবহ ভেসে আসে প্রায় প্রতিদিন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় তিনি কলেজে আসেন। তারপর নিজের দায়িত্ব সামলে রাতটুকু কাটান বাঁশির সঙ্গে। একা রুমে বসে আপন খেয়ালে বাজিয়ে চলেন বাঁশের বাঁশি। এটাই তার কাছে রাতের সময় কাটানোর এক অন্যতম মাধ্যম।
প্রথম দিন এই বাঁশির শব্দে গা ছমছম করলেও আদতে তা নয়। তিনি একজন কলেজের কর্মী। রাতের প্রহরী বা নাইটগার্ডের কাজ করেন তিনি। আর গোটা রাতটুকু পের হয় বাঁশির সুরে। ব্যাগের মধ্যেই তিনি নিয়ে আসেন বাঁশি। রাতে যখন তিনি একা থাকেন, নিজেকে জাগিয়ে রাখতে তিনি বাঁশি বাজান আপন খেয়ালে। এটাই তার প্রতিদিনের রুটিন। যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষ তার এই বিশেষ গুণকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এছাড়াও গ্রামীণ এলাকায় বেশ কিছু অনুষ্ঠানেও তিনি বাঁশির আবহ দেন। পেশাগতভাবে বংশপরম্পরায় পরিবারে ঢাক, ঢোল, তাসা বাজানোর চর্চা থাকলেও তেমন কেউ জানতেন না বাঁশি। ছোট থেকেই ঢাক বাজাতে পারেন তিনি। তবে কলেজে যখন তিনি অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করেন তখনই বিকল্প কাজ করার মানসিকতা নিয়ে তিনি নিজেই শিখেছিলেন বাঁশি।
advertisement
কখনও কোনও অনুষ্ঠানে দেখে, কিংবা কারোর থেকে তাল, লয় শিখে তিনি শুরু করেন বাঁশি বাজানোর কাজ। এখনও সেই ধারাকে রেখেছেন তিনি। ঘরে অবসরে বাঁশির সুর তোলার পাশাপাশি কলেজে ডিউটিরত অবস্থায় বড় রাত কাটান বাঁশি বাজিয়ে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন কলেজের নাইটগার্ড প্রদীপ ঘোড়াই। বাড়ি দাঁতন থানার চকইসমাইলপুর গ্রামে। ২০১০ সাল থেকে তিনি দাঁতন ভট্টর কলেজে অস্থায়ী ভিত্তিতে গ্রুপ ডি এর কাজ করতেন। সেই সময় তার কাজ স্থায়ী হবে কিনা তা নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন তিনি। পারিবারিকভাবে যেহেতু শিল্পচর্চা রয়েছে তাই তিনি অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র বাদ দিয়ে শুরু করলেন বাঁশি বাজানোর কাজ। তেমন কোনও প্রথাগত তালীম মেলেনি। নিজের ইচ্ছেতেই তিনি শিখেছেন। এরপর কলেজের অনুষ্ঠান, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা এমনকি যাত্রা দলেও আবহ সৃষ্টি করেছেন তিনি।
advertisement
advertisement
মূলত পেশা হিসেবে বেছে নিতেই তিনি হাতে তুলে নিয়েছিলেন বাঁশের বাঁশি। পরে তা শখে পরিণত হয়। কখনও কখনও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে করেন তিনি। সংসার সামলে চলে তার এই শিল্পের কাজ। বিকেল গড়ালেই তিনি আসেন কলেজে। বিভিন্ন রুম দেখে নেওয়া, চারিদিক খতিয়ে দেখার পাশাপাশি রাত জাগতে হয় তাকে। কিন্তু সেই অবসরে তিনি তার বাঁশের বাঁশি নিয়ে আবহ সৃষ্টি করেন। মধুর সুরে ভরে ওঠে কলেজ প্রাঙ্গণ।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
West Medinipur News: 'কে আবার বাজায় বাঁশি, এ ভাঙা কুঞ্জ বনে...' রাত হলেই 'মধুর ধ্বনি', মন-ছোঁয়ানো এক গল্প
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement