Fishermen Movement: কৃষক ও মৎস্যজীবীদের লাগাতার আন্দোলনের কাছে নতি স্বীকার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের

Last Updated:

Fishermen Movement: মৎস্যজীবীদের ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলে জলঙ্গি নদীতে ফেলে রাখা মাটি তুলতে বাধ্য হল জাতীয় সড়ক নির্মাণ কর্তৃপক্ষ

কৃষি ও মৎস্যজীবীদের ধারাবাহিক আন্দোলনের কাছে হার জাতীয় সড়ক নির্মাণ কর্তৃপক্ষের
কৃষি ও মৎস্যজীবীদের ধারাবাহিক আন্দোলনের কাছে হার জাতীয় সড়ক নির্মাণ কর্তৃপক্ষের
নদিয়া: কৃষক ও মৎস্যজীবীদের ধারাবাহিক আন্দোলনের কাছে হার মানতে বাধ্য হল জাতীয় সড়ক নির্মাণ কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রীয় সরকারের এনএইচএআই দফতর এবং তাদের ঠিকাদার চাপের মুখে বাধ্য হলেন জলঙ্গী নদীর উপর তাদের নব নির্মিত ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের সেতুর নিচে ফেলে রাখা মাটি ও কংক্রিট স্ল্যাব তোলার লিখিত মুচলেকা দিতে। গ্রামের মৎস্যজীবী ও সাধারণ মানুষের উপস্থিতিতে মুচলেকা দেন তাঁরা।
আন্দোলনকারীরা প্রথমে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। এরপরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। তাদের নদিয়া জেলার আধিকারিকরা উচ্চ পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে সরেজমিনে জায়গা পরিদর্শন করার সিদ্ধান্ত নেন। পরিদর্শনের পর সেইখান থেকে এনএইচএআই- এর ডিরেক্টর নির্মীয়মান সেতুর ঠিকাদার সংস্থার ডিরেক্টরকে ডেকে পাঠান। নদীর পাড়ে সেতুর নিচে আগে থেকেই জড়ো হয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদার সংস্থার প্রতিনিধিরা এসে পৌঁছলে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের নৌকা করে জলে নামিয়ে পরিস্থিতি দেখান জলঙ্গি নদী সমাজের সদস্যরা।
advertisement
advertisement
বৃহস্পতিবার জলঙ্গী নদী সমাজ এবং নতুন শম্ভু নগর মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের মানুষদের গণআন্দোলনের ফলে বহু বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে জলাঙ্গি নদীতে। এনএইচএআই-এর নবনির্মিত সেতুর জন্য মাটি ও কংক্রিট স্ল্যাব ফেলে নদী অবরুদ্ধ করে ফেলা হয়েছিল। সেটি মুক্ত করতে কলকাতা থেকে এসে পৌঁছয় বড় বুম যুক্ত মেশিন। যা দিয়ে নদীতে ফেলে রাখা মাটি ও স্ল্যাব তুলবে ঠিকাদার সংস্থা। এই উপলক্ষে এদিন সকলের থেকে চাঁদা তুলে এলাকায় খিচুড়ি রান্না করেন মৎস্যজীবীরা।
advertisement
মৎস্যজীবী কমল হালদার জানান, অনেকদিন ধরে এই মাটি ও স্ল্যাব সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছিল। কারণ নদী অবরুদ্ধ থাকায় পরিবেশের পাশাপাশি মৎস্যজীবী ও কৃষকদের জীবিকার ক্ষতি হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু কথা না শোনায় আন্দোলনের পথে হাঁটতে হয়। আর তাতেই কাজ হয়েছে। জলঙ্গী নদী সমাজের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক কৌশিক সরকার বলেন, মৎস্যজীবী, কৃষিজীবী, ক্ষেতমজুর শ্রেণির মানুষরা নদীর উপর নির্ভরশীল। নদী অবরুদ্ধ হলে এঁরা বিপদে পড়েন। এছাড়া নদী ও পরিবেশ এই শ্রেণির মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ত। অতএব লড়াইটা চেতনার, লড়াইটা অধিকার রক্ষার। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনের পথে হাঁটতে হয়।
advertisement
মৈনাক দেবনাথ
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Fishermen Movement: কৃষক ও মৎস্যজীবীদের লাগাতার আন্দোলনের কাছে নতি স্বীকার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement