Neem Tree : হাজার ঝড়-ঝাপটা, দুর্যোগেও অটুট! এই নিমগাছ দেখতে প্রতিদিন আসেন বহু মানুষ, এখানে খুঁজে পাবেন শ্রীচৈতন্যদেবকে

Last Updated:

Neem Tree : পাথরঘাটায় কেলেঘাই নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের সাক্ষী, প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন এক নিমগাছ। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই গাছটি শ্রীচৈতন্যদেব নিজ হাতে রোপণ করেছিলেন।

+
নিম

নিম গাছ 

পটাশপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, মদন মাইতি: পটাশপুরের পাথরঘাটা। এখানেই কেলেঘাই নদীর তীরে দাঁড়িয়ে আছে এক ইতিহাসের সাক্ষী, প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন এক নিমগাছ। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই নিমগাছটি স্বয়ং শ্রীচৈতন্যদেব নিজ হাতে রোপণ করেছিলেন। শতাব্দীর পর শতাব্দী পেরিয়েও গাছটি আজও অটুট, জীবন্ত ইতিহাসের মতো দাঁড়িয়ে আছে নদীর পাড়ে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বহন করে চলেছে চৈতন্যদেবের নীলাচল গমনের কাহিনী।
ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, প্রায় ১৫১০ সালে শ্রীচৈতন্যদেব নীলাচল (পুরী) গমনের পথে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এই অঞ্চল দিয়ে গিয়েছিলেন। তখন কেলেঘাই নদীর তীর ঘেঁষে থাকা কঙ্কেশ্বর মহাদেব মন্দিরের কাছে তিনি বিশ্রামের জন্য আশ্রয় নেন। কথিত আছে, সেই সময় তিনি কঙ্কেশ্বর মহাদেবের পুজো-অর্চনা করেন এবং মন্দিরের পাশেই একটি নিমগাছ রোপণ করেন। সেই নিমগাছই আজও কেলেঘাই নদীর পাড়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
advertisement
advertisement
স্থানীয় প্রবীণদের বক্তব্য, এই নিমগাছের বয়স প্রায় পাঁচ শতাব্দীরও বেশি। কত ঝড়, বৃষ্টি বন্যা, সব সহ্য করেও গাছটি এখনও জীবন্ত। বহুবার কেলেঘাই নদীর বন্যায় কঙ্কেশ্বর মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কিন্তু নিমগাছটি টিকে রয়েছে সময়ের সাক্ষী হয়ে। বহন করে চলেছে প্রায় ৫০০ বছর আগের ইতিহাস। এই নিমগাছকে ঘিরে স্থানীয়দের মধ্যে এক ধরনের ধর্মীয় ভক্তি ও ঐতিহ্যের বন্ধন গড়ে উঠেছে। প্রতিবছর হাজার হাজার ভক্ত এখানে জড় হন। কেউ মন্দিরে পুজো দেন, কেউ গাছের নিচে প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনা করেন।
advertisement
অনেকেই বিশ্বাস করেন, গাছের নীচে প্রার্থনা করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েতের উদ্যোগে কয়েক বছর ধরে এই ঐতিহ্যবাহী স্থানটিকে পর্যটন মানচিত্রে আনার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই কেলেঘাই নদীর ধারে বসান হয়েছে নামফলক ও বেড়া। এলাকাবাসীর আশা, সরকার যদি উদ্যোগ নেয়, তবে এই নিমগাছ ও কঙ্কেশ্বর মন্দিরকে ঘিরে গড়ে উঠতে পারে একটি ঐতিহ্য-ভিত্তিক ধর্মীয় পর্যটনকেন্দ্র।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এই গাছ শুধু একটি গাছ নয়, এটি আমাদের গর্ব। চৈতন্যদেবের স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের গ্রামের অস্তিত্ব।’’ অন্যদিকে মন্দিরের পুরোহিত প্রদীপ মিশ্র বলেন, “আমরা ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি, গাছটি চৈতন্যদেব লাগিয়েছিলেন। কত ঝড় বৃষ্টি বন্যা গেছে কিন্তু গাছটি অক্ষুন্ন রয়েছে।” সময়ের সাক্ষী এই নিমগাছ আজও যেন নিঃশব্দে বলে চলে ইতিহাসের কথা। নদীর হাওয়ায় তার পাতা দুলে ওঠে, আর গ্রামের মানুষ মনে করেন চৈতন্যদেবের সেই পদচিহ্ন এখনও মিশে আছে কেলেঘাই নদীর বাতাসে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Neem Tree : হাজার ঝড়-ঝাপটা, দুর্যোগেও অটুট! এই নিমগাছ দেখতে প্রতিদিন আসেন বহু মানুষ, এখানে খুঁজে পাবেন শ্রীচৈতন্যদেবকে
Next Article
advertisement
Jemimah Rodrigues: ‘এই সফরে আমি প্রায় প্রতিদিনই কেঁদেছি, স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে...!’ ফাইনালে উঠে আবেগ্রপ্রবণ জেমাইমা
‘এই সফরে আমি প্রায় প্রতিদিনই কেঁদেছি, স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে...!’: জেমাইমা
  • ‘এই সফরে আমি প্রায় প্রতিদিনই কেঁদেছি’

  • স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে...

  • অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার পর আবেগপ্রবণ জেমাইমা

VIEW MORE
advertisement
advertisement