যাদবপুরের প্রাক্তনী, বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিচার চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট সহপাঠীর

Last Updated:

লক্ষ্মীপুজোর দিনই খবরের শিরোনামে একের পর এক বধূহত্যার খবর ৷ যাদবপুরের প্রাক্তনীর রহস্যমৃত্যুতে সুবিচার চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ বন্ধুরা ৷

#কলকাতা: লক্ষ্মীপুজোর দিনই খবরের শিরোনামে একের পর এক বধূহত্যার খবর ৷ যাদবপুরের প্রাক্তনীর রহস্যমৃত্যুতে সুবিচার চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ বন্ধুরা ৷ অভিযোগ, যাদবপুরের এম.এ বাংলা বিভাগের ছাত্রী সদ্যবিবাহিতা মিতা মন্ডলকে খুন করেছে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোক ৷ উলুবেড়িয়া থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ ৷ সেই ভিত্তিতে মৃতার স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ তবে পলাতক মিতার শাশুড়ি ও দেওর ৷
শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি হাসিখুশি মেয়ের বিয়ের ছবি, পাশেই রয়েছে রক্তাক্ত, কালশিটে পড়া একটি মেয়ের মুখ ৷ একটু ভালো করে দেখলে বোঝা যায়, হাসিখুশি মেয়েটির ছবির পাশের ছবিটি তাঁর নিথর দেহের ৷ সঙ্গের লেখাটি পড়ে শিউরে উঠতে হয় ৷
পারিবারিক হিংসার বলি হওয়া সহপাঠীর জন্য ন্যায় চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিগুলি পোস্ট করেন মিতার বন্ধু শারদ্বত মান্না ৷ তাঁর পোস্ট থেকেই জানা যায়, মিতা মন্ডলের মৃত্যুকে ঘিরে দানা বেঁধেছে একাধিক প্রশ্ন ৷
advertisement
advertisement
মিতা মন্ডলের স্বামী রাণা ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, দশমীর দিন ভোরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন মিতা ৷ তবে মিতার মৃতদেহের অবস্থা দেখে তা মানতে নারাজ তাঁর পরিবার পরিজন ও বন্ধুরা ৷ তারা জানিয়েছেন, মিতার গলায় ছাড়াও গোটা দেহে রয়েছে গভীর আঘাতের চিহ্ন ৷ নাকে মুখে চাপ চাপ রক্ত, কপালে রয়েছে কালশিটে ৷ প্রশ্ন উঠেছে, গলায় দড়ি দিলে এত আঘাত আর রক্ত কোথা থেকে এল? তাতে শ্বশুরবাড়ির পাল্টা উত্তর, মিতার দেহ নামিয়ে আনার সময় ওই আঘাতগুলি লেগেছে ৷ কিন্তু এই দাবি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন মিতার পরিচিতরা ৷
advertisement
চলতি বছরের ২২ এপ্রিলই উলুবেরিয়ায় রাণা মন্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মিতা দাসের ৷ দুর্গাপুজো চলাকালীন নিজের বাড়িতে এসেছিলেন মিতা ৷ তারপরই সপ্তমীর দিন স্বামী রাণা এসে তাঁকে নিয়ে যান ৷ তখনও কেউ আন্দাজ করতে পারেননি দুর্গাপুজোর শেষে কি হতে চলেছে ৷
আত্মীয়দের দাবি, পণের দাবীতে অত্যাচার চালানো হচ্ছিল মিতার উপর ৷ শেষবার বাড়ি এসে বাবা-মায়ের কাছে এক লক্ষ টাকা চেয়েছিল সে ৷ কিন্তু কী কারণে এই টাকা তাঁর দরকার, তা জানায়নি মিতা ৷
advertisement
সেলাইয়ের কাজ করে ও ছোটদের পড়িয়ে নিজের এম.এ সম্পূর্ণ করেন মিতা ৷ অভাবী এই সংসার থেকে এক লক্ষ টাকা পাওয়ার কোনও আশা না দেখেই কি প্রাণে মেরে ফেলা হল মিতাকে? উঠেছে প্রশ্ন ৷
মিতার প্রতিবেশী এবং শ্বশুরবাড়ির বাকি আত্মীয়রা এমন ঘটনায় হতবাক ৷ প্রত্যেকেই জানাচ্ছেন মিতার ব্যবহার খুবই ভালো ছিল ৷ কোনও ঝগড়া অশান্তির কথা তারা শোনেনি ৷
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
যাদবপুরের প্রাক্তনী, বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর বিচার চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট সহপাঠীর
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement