East Bardhaman News: রাজা নেই, তবু বেঁচে আছে রাজতন্ত্র! ক্ষীরগ্রামে আজও আছে রাজসভার নানা পদ, রাজপরম্পরার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি বাংলার এই গ্রাম

Last Updated:

East Bardhaman News: আজও সেই প্রাচীন রাজতান্ত্রিক রীতিতে চলে সবকিছু। রাজতন্ত্রের আদলেই পুজো পরিচালনা করা হয়। এখনও রয়েছে দারোগা, সভাপণ্ডিত, পাইক, নিশানধারী, মালাকার, কর্মকার, শাঁখারি এমন বহু পদ, যেগুলি একসময় রাজসভায় ছিল।

+
ক্ষীরগ্রামে

ক্ষীরগ্রামে এখনও টিকে আছে রাজতন্ত্র

মঙ্গলকোট, পূর্ব বর্ধমান, বনোয়ারীলাল চৌধুরীঃ ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর সমগ্র বাংলাজুড়ে যখন রাজতন্ত্র ও জমিদারি প্রথার অবসান ঘটে গিয়েছে, তখনও পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রাম যেন এক অনন্য ব্যতিক্রম। এখানে আজ রাজা না থাকলেও, রাজতন্ত্রের ধারা অটুট। সতীপীঠ মা যোগাদ্যা পুজো কমিটিতে আজও সেই প্রাচীন রাজতান্ত্রিক রীতিতেই চলে সবকিছু। রাজতন্ত্রের আদলেই পুজো পরিচালনা করা হয়। এখনও রয়েছে দারোগা, সভাপণ্ডিত, পাইক, নিশানধারী, মালাকার, কর্মকার, শাঁখারি এমন বহু পদ, যেগুলি একসময় রাজসভায় ছিল।
এখনও নিয়ম মেনে সভা বসে, হয় সিদ্ধান্ত। পুজো কমিটির সম্পাদক কল্যাণ চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের বর্ধমানের মহারাজার কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত যে সকল মানুষেরা রয়েছেন সেই তৎকালীন সময় থেকে তাঁরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে আমাদের যে পুজো কমিটি রয়েছে, সেইভাবেই তাঁদের নিয়ে রাজতন্ত্রের ধাঁচে কাজগুলি পরিচালনা করি। রাজতন্ত্রের নিয়মানুসারেই চলে।”
advertisement
আরও পড়ুনঃ ভুল করে অন্য রোগিণীকে দেওয়া হল রক্ত, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আইসিইউ-তে! শোরগোল বর্ধমান মেডিকেলে
ক্ষীরগ্রাম সতীপীঠের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প। কথিত আছে, সতীদেহের ডান পায়ের আঙুল এই স্থানে পড়েছিল। দেবীর প্রস্তরমূর্তি সারা বছর গ্রামেরই ক্ষীরদিঘির জলে রাখা থাকে। প্রতিবছর বৈশাখ সংক্রান্তির দিন দেবীকে জলের ভিতর থেকে তুলে মূল মন্দিরে পুজো করা হয়। ওইদিন রাতেই আবার দেবীকে জলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, এটাই রীতি।
advertisement
advertisement
শুধু সংক্রান্তি নয়, বছরের বিশেষ কিছু দিনেও দেবীকে তুলে পুকুরপাড়ে পুজো করা হয়। তবে সেটি ভক্তদের দেখতে দেওয়া হয় না। জানা যায়, এই বর্ধমান রাজপরিবারের হাত ধরে পুজো শুরু হয়েছিল। তবে প্রায় ১৩৬৯ বঙ্গাব্দে রাজপরিবার এই পুজোর ভার গ্রামের ট্রাস্টের হাতে অর্পণ করে। সেই সময় থেকেই রাজা নির্ধারিত পদগুলির অনুসারেই মা যোগাদ্যার পুজোর কার্যক্রম চলে।
advertisement
মন্দিরের পুরোহিত সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “রাজ আমলে যেভাবে মন্দিরের অনুষ্ঠানগুলি হত, যে সমস্ত পুজো-পার্বণ হত, সেই নিয়মে সেই ধারা অব্যাহত রেখেই পুজো পরিচালনা করা হয়।” এখানে দারোগা সার্বিক প্রশাসনিক দায়িত্বের দেখভাল করেন, সভাপণ্ডিত নির্ধারণ করেন পুজোর নির্ঘণ্ট ও বিধি, মালাকার দেবীর ফুল ও মালা প্রস্তুত করেন এবং নিশানধারী সেই ঐতিহ্যের বাহক। মা যোগাদ্যা জল থেকে উঠলে নিশান হাতে পথ দেখিয়ে তাঁকে মূল মন্দিরে নিয়ে আসেন।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শুধু সম্পাদক পদটি নির্বাচিত হলেও, বাকি সমস্ত পদ আজও বংশানুক্রমে চলে আসছে। রাজা নেই, কিন্তু রাজতন্ত্রের সেই শৃঙ্খলা, ঐতিহ্য ও গৌরব আজও ক্ষীরগ্রামের মা যোগাদ্যা পুজো কমিটিতে টিকে আছে, যা বাংলার অতীত রাজপরম্পরার এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Bardhaman News: রাজা নেই, তবু বেঁচে আছে রাজতন্ত্র! ক্ষীরগ্রামে আজও আছে রাজসভার নানা পদ, রাজপরম্পরার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি বাংলার এই গ্রাম
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement