ক্যানিংয়ের মিতাকে খুনে অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী ও শ্বশুর

Last Updated:

ক্যানিং এ গৃহবধূকে খুনের ঘটনার অভিযোগে মিতা মণ্ডলের স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করল ক্যানিং থানার পুলিশ। ধৃতদের আজ

#ক্যানিং: ক্যানিং এ গৃহবধূকে খুনের ঘটনার অভিযোগে মিতা মণ্ডলের স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করল ক্যানিং থানার পুলিশ। ধৃতদের আজ আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই ক্যানিং থানার গোপালপুর গ্রাম থেকে মিতা মণ্ডলের স্বামী রঞ্জিত মণ্ডল ও শ্বশুর বিরাজ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে ক্যানিং থানার পুলিশ।
ফের হাওড়ার উলুবেরিয়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি। গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। খুন করে মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে দেখানোর চেষ্টার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। মৃতার নাম মিতা হালদার(২১)। দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিং থানার গোপালপুরের ঘটনা।
বছর তিনেক আগে জয়নগর থানার চালতাবেরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চোরাডাকাতিয়া গ্রামের মিতার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ক্যানিং থানার গোপালপুর গ্রামের রঞ্জিত হালদারের। বিয়ের পর থেকে মাঝে মধ্যেই মিতার উপর অত্যাচার করত রঞ্জিত ও তার পরিবারের লোকেরা বলে অভিযোগ মিতার পরিবারের। এমনকী, বেশ কয়েকবার ঐ গৃহবধূকে বাড়ি থেকে মেরে বার ও করে দিয়েছিল শ্বশুর বাড়ির লোকেরা বলে অভিযোগ মিতার মায়ের।
advertisement
advertisement
গত রবিবার মিতাকে মারধর করে মুখে জোর করে বিষ ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। তবে মিতার শ্বশুর বাড়ির লোকেদের দাবী বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। ঘটনার পর মিতার বাপের বাড়ির কোনও কাউকে খবর না দেওয়ায় সন্দেহ হয় মিতার পরিবারের। তাদের দাবী মিতার শ্বশুর বাড়ির তরফ থেকে তাদেরকে কিছুই জানানো হয়নি মিতার অবস্থা সম্পর্কে। সেখানকার এক পরিচিত জানতে পেরে মিতার বাপের বাড়িতে খবর দেয়। এমনকী, ঘটনার পর মিতার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য গৌতম মণ্ডলের মধ্যস্থতায় বসে মীমাংসা সভা। সেই মিমাংসায় এক লক্ষ টাকা মিতার মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মীমাংসা সভা থেকে মিতার পরিবারের লোকেদের কাছ থেকে এই মর্মে মুচলেকা লিখিয়েও নেওয়া হয় যে তারা রঞ্জিত ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে কোনও অভিযোগ করবে না থানায়। সমস্ত মীমাংসা সভা ক্যানিং থানার পুলিশের সামনেই হয় বলে দাবী।
advertisement
এই ঘটনার পর ক্যানিং থানায় আত্মসমর্পণ করে রঞ্জিত হালদার। মিমাংসার পর পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ। কিন্তু এই মীমাংসা মানতে চায়নি মিতার বাবা, মা ও দাদা। তাদের দাবী মিতাকে খুনের পিছনে যাদের হাত রয়েছে তাদের যথাযথ শাস্তি। সেই কারনে বৃহস্পতিবার সকালে মিতার দাদা তাপস মণ্ডল ক্যানিং থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে এলে এদিন বিকেল পর্যন্ত পুলিশ তাদের অভিযোগ জমা নেয়নি। তিন তিন বার অভিযোগের বয়ান বদল করাবার পর অবশেষে এদিন সন্ধ্যে নাগাদ অভিযোগ জমা নেয় ক্যানিং থানার পুলিশ। মিতার স্বামী রঞ্জিত হালদার, শ্বশুর বিরাজ হালদার, শাশুড়ি মালতি হালদার সহ মোট পাঁচ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন মিতার পরিবারের লোকেরা।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
ক্যানিংয়ের মিতাকে খুনে অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী ও শ্বশুর
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement