Nandigram: নির্বিঘ্নে ভোট দিল নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া-ভাঙাবেড়া, কমিশনের ভূমিকায় খুশি গ্রামবাসীরা...

Last Updated:

বৃহস্পতিবারের 'হাইভোল্টেজ' ম্যাচ ছিল কমিশনের কাছে নন্দীগ্রামের নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করা।

নন্দীগ্রামঃ বৃহস্পতিবারের 'হাইভোল্টেজ' ম্যাচ ছিল কমিশনের কাছে নন্দীগ্রামের নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ করা। কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে শুরু করে একাধিক ব্যবস্থা নন্দীগ্রাম বিধানসভার জন্য। এমনকি ড্রোন দিয়ে নজরদারির ব্যবস্থা ও রেখেছিল কমিশন নির্বিঘ্নে ভোট পরিচালনার জন্য নন্দীগ্রামে। একাধিক জায়গায় অশান্তির আশঙ্কাও ছিল। তার মধ্যেই উল্লেখযোগ্যভাবে নাম এসেছিল সোনাচূড়া, ভাঙ্গাবেড়া, গড়চক্রবেরিয়ার। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার ভোটে নন্দীগ্রামের এই এলাকাতেই কার্যত নির্বিঘ্নে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হল। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ কয়েক বছর বাদে ভোট দেওয়ার জন্য কমিশনকে ধন্যবাদ জানালেন এলাকার গ্রামবাসীদের একাংশ। যদিও বুথ জ্যাম থেকে শুরু করে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনা ছিল নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ ঘিরে। দুই হেভিওয়েট প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর লড়াই কে ঘিরে রাজ্য রাজনীতি বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ছিল সরগরম। আদাম অশান্তির আশঙ্কাতে নন্দীগ্রামের ৩৫৫ টি বুথে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি আরও ছ'কোম্পানি রিজার্ভে রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একাধিক অভিযোগ তোলা হলেও বিজেপির তরফ সে খুব একটা অভিযোগ আসেনি নন্দীগ্রাম বিধানসভার ভোট গ্রহণ কেন্দ্র করে।
advertisement
নন্দীগ্রাম বিধানসভার যে কয়েকটি অঞ্চলের ভোটগ্রহণকে ঘিরে কড়া নজর ছিল কমিশনের তার মধ্যে অন্যতম ছিল ভাঙাবেড়া, সোনাচূড়া, গড় চক্রবেরিয়া এলাকার বুথ গুলিতে ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে। এই এলাকার বেশিরভাগ বুথেই আটজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল অশান্তির আশঙ্কাকে কেন্দ্র করে। কিন্তু শেষমেশ নির্বিঘ্নে ভোট হওয়াতে খুশি গ্রামবাসীরা। এক গ্রামবাসী বলেন, "এই এলাকাতে গত ভোট গুলিতে সামান্য অশান্তি হলেও হয়েছিল। কিন্তু এ বার বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় নির্বিঘ্নেই এলাকাতে ভোট হওয়াতে আমরা খুশি।" সোনাচূড়া এলাকার এক গ্রামবাসী বলেন, " গত কয়েকটি ভোটই আমরা দিতেই পারিনি। এ বার আগে থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা এবং আমাদের সাহস জোগানোর ফলে আমরা অনেক বছর পরে ভোট দিলাম। এটা আমাদের কাছে আনন্দেরও খুশির।"
advertisement
advertisement
যদিও এ দিন গড় চক্রবেরিয়া কিছু এলাকা থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে গ্রামবাসীর তরফ কিছুক্ষণের জন্য রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়। পরে অবশ্য পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় গ্রামবাসীরা। তবে এদিন এই অঞ্চলগুলিতে অশান্তির আশঙ্কাতে দফায় দফায় কমিশনের qrt টিম নজরদারি চালায়। শুধু তাই নয় সিআরপিএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এ দিন নন্দীগ্রামের বেশ কিছু অংশে টহলদারি এবং পরিদর্শন করেন। সবমিলিয়ে এলাকার গ্রামবাসীরা কমিশনের ব্যবস্থাপনাকে কার্যত সার্টিফিকেট দিলেন।
advertisement
SOMRAJ BANDOPADHYAY
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Nandigram: নির্বিঘ্নে ভোট দিল নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া-ভাঙাবেড়া, কমিশনের ভূমিকায় খুশি গ্রামবাসীরা...
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement