#নন্দীগ্রামঃ 'বিজেপি কর্মীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ি ব্যবহার করে ভোটারদের টাকা বিলি করছে, তাঁদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে', মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে প্রচারের শেষ দিনে রোড-শো শেষে সোনাচূড়া বাজারের সভা থেকে বিষ্ফোরক অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে পাখির চোখ 'নন্দীগ্রাম'। হাতে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা বাকি। ১ এপ্রিল পূর্ব মেদিনীপুরের 'হাইভোল্টেজ' কেন্দ্র নন্দীগ্রামের ভোট। একইসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার আরও ২৯ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। তার আগে মঙ্গলবারই ছিল নন্দীগ্রামে শেষ প্রচার। এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাঙাবেরা শহীদ বেদী থেকে সোনাচূড়া বাজার পর্যন্ত রোড শো করেন। এ ছাড়া নন্দীগ্রামের তিন জায়গায় তিনটি সভা করেন, নন্দীগ্রাম ১নং ব্লকে সোনাচূড়া, ভেকুটিয়ার বাঁশুলি চক লক গেট এবং ভেকুটিয়ার টেঙ্গুয়া মোড় ক্রসিংয়ে।
এ দিন রোড শো শেষে সোনাচূড়া বাজারের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমার কাছে খবর আছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজে ব্যবহৃত গাড়িগুলি থেকে টাকা বিলি করা হচ্ছে। বাইরে থেকে লোক এনে গ্রামে গ্রামে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।" মমতা আরও বলেন, "শুধু রাজ্য নয়, অন্য রাজ্যের বিজেপি নেতারা রাজ্যে এসে কলকাতার হোটেল থেকে টাকা বিলি করছে। আমি আপনাদের অনুরোধ করছি, আপনারাই উচিৎ জবাব দিন বিজেপিকে।" তৃণমুল সুপ্রিমো বলেন, "পুলিশ এবং আধা সেনারা নিজেদের কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করছে না। বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে বহু সংখ্যায় গুন্ডা রাজ্যে প্রবেশ করে নির্বাচন পূর্বে অশান্তি পাকাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন একেবারে চুপ তা নিয়ে, যা খুবই দুঃখজনক।"
মমতা সভা থেকে হুঙ্কার দিয়ে বলেন, "ভোটারদের প্রভাবিত করতে বিজেপি যে টাকা দিচ্ছে, ওদের টাকা? সব টাকা নোটবন্দীর সময়ের। টাকা আসছে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে। অসব সাধারণ মানুষের টাকা। সব কিছুই মানুষের কাছে স্পষ্ট। সবাই সব জানে। আগামী ২ মে বাংলার মানুষই ওদের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার রাস্তা দেখিয়ে দেবে। " প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক মহলের মতে, এক সময়ের দুই সহযোদ্ধাদের লড়াই এ বার একেবারে ব্যক্তিগত স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। যার ফলে একে অপরের দিকে এক সময়ের তথাকথিত গোপনে থাকা কথা তুলে আনছেন।