Marriage of Tree: গাছের হল গায়ে হলুদ, লাল চেলিতে নববধূর বেশে সে, খাওয়াদাওয়ায় জম্পেশ, গল্পটা কী

সানাই যেমন বাজল তেমনই গায়ে হলুদ থেকে শুরু করে নান্দীমুখ সবই হল নিয়ম রীতি মেনেই। ৫০ কিলো কাঠে হল হোমের যজ্ঞ। এমনই বিয়ের আসর বসল বারুইপুরের সদাব্রতঘাট ঘাট সংলগ্ন আদি গঙ্গার পাড়ে হনুমান মন্দির ও কীর্তনখোলা মহাশ্মশানের মধ্যবর্তী এলাকায়। আয়োজক তপন সাহা বলেন, বেশি পরিমানে গাছ লাগানোর বার্তা দিতেই এই আয়োজন। অশ্বথ গাছের মধ্যে ভগবান বিষ্ণু আছেন। বটগাছে রয়েছেন মা লক্ষ্মী। সেই জন্য স্বামী স্ত্রীর মধ্যে এই বিয়ের আসর।

আরও পড়ুন –  Narendra Modi Photos: ৭৫তম প্রজাতন্ত্র দিবসে নরেন্দ্র মোদি নয়া লুকে, রইল ফটো

কুয়াশা ঘেরা পরিবেশ। তখনও ভোরের আলো ফোটেনি। এই বিয়ের আসরে হাজির বাড়ির গৃহবধূরা। কেউ বারুইপুরের বাসিন্দা। কেউবা এসেছিলেন সুভাষগ্রাম থেকে। কেউ জয়নগর থেকে এসেছেন। বটগাছ কে নতুন শাড়ি পড়িয়ে অশ্বথ গাছকেও পরানো হয় নতুন ধুতি। সদাব্রতঘাটে গিয়ে জল আনা থেকে গায়ে হলুদ বিয়ের কোনও নিয়মই বাদ যায়নি। হলুদ পাড়ের শাড়ি পড়ে গৃহবধূরা কোমর বেঁধে নেমে পড়েছিলেন আয়োজনে। কেউ হয়েছেন বর পক্ষের লোক। কেউবা কনে পক্ষের। সানাই, ঢাক-ঢোলের আওয়াজ দূর থেকে শোনা যাচ্ছিল। গৃহবধূ রূপা মণ্ডল বলেন, আমরা কনে পক্ষের গাছের লোক হয়েছি। সকাল থেকে খুব আনন্দ সহকারে বিয়ের কাজ হচ্ছে। গাছ যে আমাদের পরম আত্মীয় তা বোঝাতেই এমন উদ্যোগ। সুভাষগ্রামের বাসিন্দা গৃহবধূ সুলতা সরদার, তাপসী নস্কর বলেন, আমরা বর পক্ষ হয়ে বিয়ের তত্বও এনেছি। তাতে গামছা,শাড়ি সব সাজিয়ে আনা হয়েছে। যেমন বিয়েতে হয় তা সবই এখানে করা হচ্ছে। বিয়ের আসরে ভুরিভোজের আয়জনেও খামতি ছিল না। আয়োজক তপন সাহা বলেন, পোলাও, আলুর দম, চাটনি খাওয়ানো হয়। চার হাজার লোকের সমাগম হয়েছিল। পরে হনুমান মন্দিরে প্রসাদ বিতরন করা হয়।

Suman Saha