#দিঘা: মুম্বাই মেরিন ড্রাইভের মতো, এবার বেঙ্গল মেরিন ড্রাইভ৷ সমুদ্রের পাড় বরাবর মেরিন ড্রাইভের প্রথম সেতু তৈরির কাজ শেষ। এখন যা চলছে সেটা শুধুই ফিনিশিং টাচ। সূত্রের খবর শীঘ্রই এই সেতু উদ্বোধন করা হতে পারে। তার ফলে কম সময়েই যাতায়াত করতে পারা যাবে সৈকত নগরীর একাধিক পয়েন্টের সাথে। সদ্য শেষ হয়েছে বিশ্ব বাংলা শিল্প সম্মেলন। তাজপুর বন্দরকে পাখির চোখ ধরে এগোচ্ছে রাজ্য৷
মেরিন ড্রাইভের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হলে তাজপুর জুড়ে যাবে দিঘা, মন্দারমণি, শঙ্করপুরের সঙ্গে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২০১৭ সালে সৈকত নগরী জুড়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মেরিন ড্রাইভ তৈরি করা হবে। সেই মোতাবেক পূর্ব মেদিনীপুরের শৌলা এলাকা থেকে জলদা, মন্দারমণি, তাজপুর হয়ে দীঘা অবধি সমুদ্রের ধার বরাবর তৈরি করা হবে রাস্তা। যা নাম দেওয়া হচ্ছে মেরিন ড্রাইভ৷ এই মেরিন ড্রাইভ জোড়া হবে তিনটে ফ্লাইওভারের মাধ্যমে।
এর একটি হবে ন্যায়কালী এলাকায়। একটি হবে জলদা এলাকায়। আর একটি হবে শৌলাতে পিছাবনী নদীর উপর। এর মধ্যে ন্যায়কালী সেতু হচ্ছে ৩৮৭.৯৩ মিটার। জলদা সেতু হচ্ছে ৬০৮.৯৬ মিটার। শৌলা সেতু হচ্ছে ৭১৬.২৮ মিটার। তিনটি সেতুর মাপ হচ্ছে ১৭১৩.১৬ মিটার৷ এছাড়া হবে অ্যাপ্রোচ রোড। যা তিনটি সেতুর সাথে সংযুক্ত হবে। এই রাস্তা হতে চলেছে প্রায় ২৬৫১.৩২ মিটার। দীঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ সূত্রে খবর, মেরিন ড্রাইভের প্রথম সেতু অর্থাৎ ন্যায়কালী সেতুর কাজ প্রায় শেষ।
আরও পড়ুন: ফের ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী? গোটা বাংলাজুড়েই অঝোর বৃষ্টি? জরুরি সতর্কতা হাওয়া অফিসের
রাজ্য পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, বাকি দুই সেতুর কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে চলতি বছরের নভেম্বর মাস। দীপাবলিতে সম্পূর্ণ হয়ে যেতে পারে এই মেরিন ড্রাইভের কাজ। গোটা প্রকল্প ব্যবহার করা যাবে। মেরিন ড্রাইভের কাজ শেষ হয়ে গেলে মন্দারমণি থেকে দীঘা আসতে সময় নেবে মাত্র কয়েক মিনিট। ১৫ মিনিট সময়ের ব্যবহারে প্রায় ৩০ কিমি রাস্তা চলে আসা যাবে। আপাতত প্রথম সেতু অর্থাৎ ন্যায়কালী এলাকার সেতু দিয়ে যাতায়াত করলে তাজপুর থেকে দীঘা প্রায় ২০ কিমি রাস্তা আসা যাবে মিনিট ৫ সময়ের মধ্যে। এর ফলে পর্যটনের উন্নয়ন হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Digha, Mandarmani, West Bengal news