স্বপ্নাদেশ দিয়ে অভিমান করেছিলেন মা দুর্গা, পুজোর শুরু সেই থেকে
Last Updated:
#বাঁকুড়া: এ এক অনুশোচনার পুজো বাঁকুড়ায়। ময়নাপুরের চণ্ডীচরণ মুখোপাধ্যায় ছিলেন জমিদার। দালান কোঠা প্রাসাদে স্বাচ্ছন্দ্যের জীবন। জমিদারমশাই সপরিবারে প্রাসাদের থাকলেও দুর্গাপুজো হত খড়োমাটির দালানে। সেই অনুশোচনার শুরুয়াদ। ২৩০ বছর আগে বানানো হয় পাকা ঠাকুরদালান। এখন জমিদারির জমক কমেছে। পুজোর ঐতিহ্য কিন্তু চিরন্তন। জমিদারির জেল্লা এখন ফিকে। হারিয়ে যাওয়ার মুখে। তবে ভাঙাচোরা জমিদার মহল্লায় রোদ ঝলকায়.......হয়তো একটু বেশিই রোদ্দুর। সে রোদের গায়ে এখন শরতের সোনালি জামা.. ৷
মুখুজ্জে পরিবারের আকাশছোঁয়া বাড়ির মাথায় আরও নীল ঘনায়...২৩০ বছর ধরে। জমিদারির রং নেই, তবুও মুখোপাধ্যায়দের ঠাকুরদালানে পুজোর রং লাগে। নিয়ম মেনে। আর রাঙা দালানের ফাঁক দিয়ে উঁকি দেয় উমা।
জমিদার বাড়ির পুজো বলে কথা। তাই গল্পরা থাকবেই। উৎসবের ঋতু এলেই গল্পরা কড়া নাড়ে দরজায়।... ... ...বিষ্ণুপুরের শেষ মল্ল রাজা চৈতন্য সিংয়ের দেওয়ান ছিলেন ময়নাপুরের বাসিন্দা চণ্ডীচরণ মুখোপাধ্যায়। তাঁর আমলেই জমিদারি সত্ত্ব লাভ করে মুখোপাধ্যায় পরিবার। তখনই নাকি দেবীর স্বপ্নাদেশ।
advertisement
advertisement
১৭৯১ সালে পুজো শুরু। জমিদারির জৌলুস তখন উপচে পড়ছে। ঝাড়বাতির আলোর ছটায় বসত যাত্রাপালা। রামায়ণ গান আর পুতুলনাচে গমগম করত ঠাকুরদালান। এখন সময়ের থাবায় জমিদারিতে ধস নেমেছে। কিছুটা টাল খেয়েছে আড়ম্বরও।
জমিদারির দালান জীর্ণ হয়েছে। এখানে ওখানে স্মৃতির আগাছা গজিয়েছে। প্রাসাদের ধ্বংসস্তূপ সারা বছর ধরে অপেক্ষায় থাকে.. কবে আসবে শরৎ.. তখনই তো আবার পুরোনকে ফিরে পাওয়া.. তখনই তো শিকড়ের টান আবার চাগাড় দেয়... ফিরতে হয় বাড়িতে... ধ্বংসের মাঝেই যে বাড়ি রক্ষা করে আত্মীয়তা... যে ঠাকুরদালান জমাটি আড্ডা বসায়... সেই ময়নাপুরে.....৷
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
October 08, 2018 3:16 PM IST

