SUJIT BHOWMIK
#তমলুক: করোনা লকডাউনের সময় সাধারণ মানুষের দিনই গুজরান যখন হচ্ছে না, তখন এলাকার ভবঘুরে মানুষদের অবস্থা যে আরও খারাপ সেটা জানেন সকলেই। রাস্তায় দিন কাটানো প্রায় অভুক্ত সেইসব ভবঘুরে মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তমলুকের কাঁকটিয়া এলাকার কিছু মানুষ। তাঁদের উদ্যোগেই লকডাউনের প্রায় প্রথম দিন থেকেই ভবঘুরেদের পেটে জুটছে সারাদিনের খাবার। তাঁদের পেটে একটানা অন্ন যোগাচ্ছেন যাঁরা, সেই মানুষ বন্ধুরাই মেনু তালিকায় বদল এনে ভবঘুরেদের খাওয়ালেন মাংস ভাত। সঙ্গে আলুভাজা, চাটনি, দই আর মিষ্টি। আসলে ডাল, ভাত, ডিম, তরকারি, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একটানা প্রতিদিন দুপুর আর রাতের খাবার খাইয়েই চলেছেন তাঁরা। তমলুকের কাঁকটিয়ার সেইসব উদ্যোগীরাই আজ সেই মেনুতেই বদল এনে অসহায়দের মুখে মাংস ভাত তুলে দিয়েছেন।
নোনাকুড়ি কাকটিয়া জানুবসান বাজারে ভবঘুরে অসহায় মানুষের পাশে তাঁরা দাঁড়িয়ে নিজেদের খরচে সবকিছু রান্না করেই অসহায়দের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছেন। কয়েকদিন ধরেই রান্না খাওয়ারের ব্যবস্থা করেছেন বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত এলাকারই কিছু মানুষ। এ দিনের মেনুতে তাঁরা রেখেছিলেন আলু ভাজা, মাংসের ঝোল, ভাত, আলুভাজা, চাটনি, দই ও মিষ্টি।
প্রতিদিনই ২০-৩০ জন অসহায় মানুষকে খাইয়ে আসছেন এই মানুষ বন্ধুরা। মানুষ বন্ধুর তালিকায় যাঁরা আছেন, তাঁদের কেউ পুলিশ অফিসার, কেউ শিক্ষক, কেউ বা ব্যবসায়ী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। তাঁদের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে নোনাকুড়ি সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির কর্মকর্তারাও আছেন। যাঁরা নিজেরাই রান্না করে গরম গরম খাবার পরিবেশন করছেন। ভবঘুরে অসহায় মানুষজন এমনিতেই প্রতিদিন পেট পুরে খেতে পেয়ে খুশিতে থাকেন। উপরি হিসেবে এদিন মাংসের ঝোল, দই মিষ্টি, চাটনি পেয়ে দারুণ খুশি হয়েছেন তাঁরা। ভবঘুরেদের পাশাপাশি লকডাউনের কঠিন সময়ে রাস্তার সারমেয়দেরও রান্না খাওয়ার দিয়ে আসছেন কাঁকটিইয়ার এই মানুষ বন্ধুরা। জীবে প্রেম করে যেইজন, সেবিছে ঈশ্বর মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েই এই মানব সেবার পথ অবলম্বন বলে মানুষ বন্ধুরা জানিয়েছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Food Distribution, Lockdown