বাংলার 'এই' শহরের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাস! এসেছিলেন ৫ পরিব্রাজক, বলুন তো কোন জায়গা?

Last Updated:

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এই শহরটি রাজ্য এবং দেশের অন্যতম প্রাচীন শহর। বৌদ্ধ ধর্মের কাহিনী এই জনপদের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

+
তাম্রলিপ্ত

তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ি 

তমলুক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক শহরটি রাজ্য এবং দেশের অন্যতম প্রাচীন শহর। বৌদ্ধ ধর্মের কাহিনী এই জনপদের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তমলুকের সঙ্গে বৌদ্ধ ধর্মের সংযোগের ইতিহাস সম্পর্কে জানুন। ভারতের মধ্যযুগে দেখতে পাওয়া যায় তাম্রলিপ্তর নিদর্শন। মধ্যযুগে তাম্রলিপ্ত বন্দর ছিল অন্যতম। এই তাম্রলিপ্ত বন্দর দিয়ে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে সিংহল যাত্রা করেছিলেন সম্রাট অশোকের পুত্র ও কন্যা। এছাড়াও এই তাম্রলিপ্ত নগরীতে এসেছিলেন বিখ্যাত পরিব্রাজক ফা হিয়েন, হিউয়েন সাঙ, পাঁচ ইনিয়েত। তাঁদের ভ্রমণ কাহিনী থেকে জানা যায় প্রাচীন তাম্রলিপ্ত নগরী গৌরবময় ইতিহাসের কথা।
আঞ্চলিক ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের মতে তাম্রলিপ্ত নগরী একসময় বৌদ্ধ ধর্মে প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৩৪০ সালে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারে গৌতম বুদ্ধের আট জন শিষ্য তাম্রলিপ্ত নগরীতে আসেন। আঞ্চলিক ইতিহাসবিদেরা জানান তৎকালে তাম্রলিপ্ত নগর এর সীমা অনেক বিস্তৃত ছিল। তাম্রলিপ্ত নগরীতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার উদ্দেশ্যে অনেকগুলি বৌদ্ধ বিহার স্থাপিত হয়। সে সময় তাম্রলিপ্ত নগরী ছিল অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী রাজ্য। আঞ্চলিক ইতিহাসবিদের জানান তাম্রলিপ্ত নগরীর রাজা বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারে নিজের রাজ্যে অনেকগুলি বৌদ্ধ বিহার স্থাপিত করেন।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন- চারদিকে ‘হিসহিস’…পা ফেললেই ছোবল! মানুষ পালাচ্ছে, সাপেদেরই হয়ে যাবে বাংলার এই গ্রাম?
এ বিষয়ে আঞ্চলিক ইতিহাস গবেষক জয়দেব মালাকার বলেন, ‘তাম্রলিপ্ত রাজ পরিবারের ইতিহাস অনেক পুরানো ও গৌরবময়। তাম্রলিপ্ত নগর বা তাম্রলিপ্ত রাজ পরিবারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাস। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারে তাম্রলিপ্তের রাজা বৌদ্ধবিহার তৈরি করেন। এর পাশাপাশি লক্ষ্য করা যায় মধ্যযুগে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারের জন্য সম্রাট অশোকের পুত্র ও কন্যা তাম্রলিপ্ত রাজ পরিবারের আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। এবং বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারে তাম্রলিপ্ত নগর থেকেই সিংহল যাত্রা করেন। কালের নিয়মে বৌদ্ধ বিহারগুলি ধ্বংস হয়েছে।’
advertisement
তাম্রলিপ্ত নগরে বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা লক্ষ্য করা যায় বিভিন্ন চৈনিক পরিব্রাজকের ভ্রমণ কাহিনী থেকেও। তাঁদের ভ্রমণ কাহিনী থেকে জানা তাম্রলিপ্ত নগরীতে চোদ্দটি বৌদ্ধ বিহার, দশটি সংঘরাম, এক হাজার বৌদ্ধধর্মের সন্ন্যাসীদের কথা। ইতিহাস গবেষকদের অভিমত অনুসারে বর্গভীমা স্থাপত্য রীতিতে বৌদ্ধমঠ বা বৌদ্ধদের প্রাচীন ষোড়শ মহাস্থবিরের একজন ছিলেন তাম্রলিপ্তবাসী স্থবির কালিক। শকাব্দের তৃতীয় শতাব্দীতে দন্তকুমার তাঁর স্ত্রী হেমলতার সঙ্গে গোপনে বুদ্ধদন্ত নিয়ে তাম্রলিপ্ত থেকে সিংহল গিয়েছিলেন। এ থেকে সহজেই বোঝা যায় একসময় বন্দরনগরী বা তাম্রলিপ্ত প্রদেশে বৌদ্ধধর্মের বিস্তার লাভ করেছিল।
advertisement
সৈকত শী
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বাংলার 'এই' শহরের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাস! এসেছিলেন ৫ পরিব্রাজক, বলুন তো কোন জায়গা?
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement