Jute Farmers: বিরক্তির টানা বৃষ্টি‌ হাসি ফুটিয়েছে ওঁদের মুখে, কারণ জানলে অবাক হবেন!

Last Updated:

পর্যাপ্ত জল থাকায় নিজের জমিতেই জাক দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন অধিকাংশ কৃষক। ফলে খরচ কমেছে, শ্রম কমেছে, বাড়ছে লাভের আশা। এই সময় মাঠে পাট কেটে জাক দেওয়ার কাজে ব্যস্ত মিনাখা, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাসনাবাদ সহ একাধিক এলাকার কৃষকরা। 

+
লাভের

লাভের আশায় পাট চাষিরা

উত্তর ২৪ পরগণা: কথাতেই আছে কারোর পৌষ মাস, তো কারোর সর্বনাশ। টানা বৃষ্টিতে চারিদিক যখন জলমগ্ন, ফসল নষ্ট হওয়ায় সবজি চাষিদের মাথায় হাত, ঠিক তখনই মুখে হাসি ফুটেছে পাট চাষিদের। টানা মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় অনেকদিন পর দুটো পয়সার মুখ দেখার আশায় বুক বাঁধছেন বাংলার পাট চাষিদের একাংশ।
গত কয়েক দশকের মধ্যে এবারের জুলাই মাস সবচেয়ে বেশি আদ্র ছিল। এদিকে পাট থেকে ভাল তন্তু পেতে হলে তার পচনটা যথাযথ হওয়া দরকার। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টির অভাবে পাট পচাতে চাষিদের একদিকে যেমন বেগ পেতে হচ্ছিল, তেমনই মোটা টাকা খরচ করতে হচ্ছিল জল কেনার জন্য। ফলে চাষের খরচ বেড়ে যাওয়ায় সেভাবে লাভ হচ্ছিল না। কিন্তু এবার গোটা জুলাই মাস জুড়ে যথেষ্ট পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ায় পাট পচানোর জন্য আর অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে না কৃষকদের।
advertisement
advertisement
উত্তর ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে পাট চাষ হয়। টানা বর্ষণের ফলে খাল, বিল, ডোবা ও জলাশয় উপচে পড়েছে। ফলে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন কৃষকরা। এই মরশুমে পাট পচানোর জন্য তাঁদের আর অতিরিক্ত ঝামেলা পোহাতে হবে না বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
উল্লেখ্য, গত বছর বৃষ্টির অভাবে পাট জাঁক দেওয়ার জন্য হিমশিম খেতে হয়েছিল জেলার চাষিদের। জল কেনার জন্য মোটা টাকা খরচ হয়েছিল কমবেশি সকলের। কিন্তু এই বছর ছবিটা একেবারেই উল্টো। টানা বৃষ্টির ফলে পর্যাপ্ত জল থাকায় নিজের জমিতেই জাঁক দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন অধিকাংশ কৃষক। ফলে খরচ কমেছে, বাড়ছে লাভের আশা।
এই সময় মাঠে পাট কেটে জাঁক দেওয়ার কাজে ব্যস্ত মিনাখাঁ, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাসনাবাদ সহ জেলার একাধিক এলাকার কৃষকরা। স্থানভেদে নদী, নালা, খাল, বিল ও পুকুরে পাট জাঁক দেওয়া হচ্ছে। মাটি চাপা দিয়ে পচানো হচ্ছে সোনালী আঁশ। সাধারণত ২৩ থেকে ২৫ দিন সময় লাগে পাট সম্পূর্ণভাবে পচিয়ে আঁশ ছাড়াতে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পাট ধোয়া, শুকানো ও আঁশ ছাড়ানোর কাজেও দেখা যাচ্ছে ব্যস্ততা। বসিরহাটের হোসেনপুরে সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত কৃষকরা এই কাজেই ডুবে থাকছেন। কৃষকদের পাশে হাত লাগাচ্ছেন গৃহবধূ ও ক্ষুদে সদস্যরাও। প্রতি বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার টাকা। তবে সঠিকভাবে পাট পচানো গেলে ও আঁশ ভাল হলে বাজারে ভাল দাম পাওয়া যায়। জুলাই মাসের টানা বৃষ্টি এবার সেই আশা‌ই জাগিয়ে তুলেছে কৃষকদের মনে
advertisement
জুলফিকার মোল্যা
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Jute Farmers: বিরক্তির টানা বৃষ্টি‌ হাসি ফুটিয়েছে ওঁদের মুখে, কারণ জানলে অবাক হবেন!
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement