Ishwar Chandra Vidyasagar: প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্বয়ং বিদ‍্যাসাগর! ভগ্নপ্রায় স্কুলকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন প্রাক্তনীরা

Last Updated:

Ishwar Chandra Vidyasagar: সংস্কারের অভাবে ভগ্নপ্রায় দশা হয়ে পড়েছিল সেই ভবনের। ঐতিহ্য আবেগকে বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে এলেন প্রাক্তনীরা।

শুরু সংস্কার, বিদ্যাসাগরের স্মৃতি বাঁচাতে উদ্যোগী প্রাক্তনীরা
শুরু সংস্কার, বিদ্যাসাগরের স্মৃতি বাঁচাতে উদ্যোগী প্রাক্তনীরা
পূর্ব বর্ধমান: স্কুল গড়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ভবন তৈরি করে শুরু করেছিলেন পঠনপাঠন। সংস্কারের অভাবে ভগ্নপ্রায় দশা হয়ে পড়েছিল সেই ভবনের। ঐতিহ্য আবেগকে বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে এলেন প্রাক্তনীরা। তাঁদের উদ্যোগে শুরু হল সংস্কার। বিদ্যাসাগরের প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে সংস্কার! আবেগে গাঁথা শৈশবের স্মৃতি বাঁচাতে প্রাক্তনীরা হাতে তুলে নিয়েছেন সেই উদ্যোগ।
১৮৫৬ সালে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অনুপ্রেরণায় গড়ে ওঠে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের ঐতিহাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সারদা প্রসাদ উচ্চ বিদ্যালয়। বহু প্রজন্মে শিক্ষার আলো ছড়িয়েছে এই স্কুল। সম্প্রতি সরকারের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে নতুন ভবন। তবে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের আবেগ আটকে রয়েছে সেই ইতিহাস প্রাচীন পুরোনো ভবনের গায়ে। যার প্রতিটি ইট যেন একেকটা জীবন্ত স্মৃতি।
advertisement
advertisement
সেই স্মৃতি বাঁচাতেই নিজেদের অর্থে, নিজেদের উদ্যোগে ভবনটির সংস্কার শুরু করেছেন স্কুলের একদল প্রাক্তনী। কেউ ডাক্তার, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ চাকরিজীবী—সকলেই জড়ো হয়েছেন সেই পুরোনো স্কুলবাড়ির পাশে। হাতে হাত মিলিয়ে জোড়াতালি দিচ্ছেন স্মৃতির গায়ে। তবে এখনও পর্যন্ত এই কাজে সরকারি অনুমোদন মেলেনি। প্রশাসনের ইঞ্জিনিয়াররা পরিদর্শন করে জানিয়েছিলেন, বিল্ডিংটি বিপদজনক। প্রাক্তনীরা বলছেন, আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, বিল্ডিংটি সংস্কার সম্ভব। তাঁদের পরামর্শ মতো কাজ শুরু হয়েছে। ধাপে ধাপে সব কাজ হবে। অর্থ কোনও বাধা হবে না বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
advertisement
জামালপুরের বিডিও পার্থসারথী দে বলেন, “ওনারা একবার এসেছিলেন। আমি বর্ধমান থেকে ইঞ্জিনিয়ার পাঠিয়েছিলাম। তাঁরা পরিদর্শন করে জানিয়েছেন—এই ভবনটি বিপজ্জনক। শুধুমাত্র সংস্কার করলেই সমস্যার সমাধান হবে না, কাঠামোগত দুর্বলতা থেকেই যাবে। ফলে ভবিষ্যতে এটি ধসে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না”।
advertisement
তিনি আরও বলেন, “এই মুহূর্তে কেউ যদি নিজ উদ্যোগে কাজ করান, কোনও সরকারি অনুমতি ছাড়াই, তবে ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় সম্পূর্ণ তাঁদের উপরেই বর্তাবে”।
তবে সব হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই কাজ চলছে জোরকদমে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ভিত শক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। দেওয়ালে লাগানো হচ্ছে নতুন সিমেন্ট, বদলানো হচ্ছে কাঠামোর কিছু পুরনো অংশও।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Ishwar Chandra Vidyasagar: প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্বয়ং বিদ‍্যাসাগর! ভগ্নপ্রায় স্কুলকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন প্রাক্তনীরা
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement