আগামী জানুয়ারিতেই কি বর্ধমানে পুরভোট? উপনির্বাচনের ফল বেরতেই শুরু জল্পনা

Last Updated:

এক বছরেরও বেশি সময় পুরবোর্ড নেই বর্ধমানে।

শরদিন্দু ঘোষ
#কলকাতা: জানুয়ারি মাসেই কি পুরভোট?-বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল বের হতেই জল্পনা শুরু বর্ধমানে। পুরসভা ভোট কবে হবে তা নিয়ে পুর বাসিন্দা ও রাজনৈতিক মহলে জল্পনা চলছিলই। বিধানসভা উপনির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিশাল সাফল্য সেই জল্পনাকে উসকে দিয়েছে।
এই সাফল্যের রেশ থাকতে থাকতেই পুরভোটের ফসল তোলার পক্ষে তৃণমূলের স্থানীয় নেতানেত্রীরা। বিজেপির অবশ্য দাবি, পুরসভা ভোটে স্থানীয় উন্নয়নের ইস্যুই প্রাধান্য পায়।বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রভাব তাতে পড়বে না। লোকসভা নির্বাচনে যে সাফল্য মিলেছে তা আরও বাড়বে।
advertisement
advertisement
এক বছরেরও বেশি সময় পুরবোর্ড নেই বর্ধমানে। নির্বাচন না হওয়ায় প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে বর্ধমান পুরসভায়। সেকারনে অনেক সময় সমস্যারও সামনে পড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। নিকাশি থেকে পানীয় জল - সমস্যায় পড়লে বাসিন্দারা স্থানীয় পুর প্রতিনিধির অফিসে যেতেন। আবার অনেক কাউন্সিলার এলাকার পুর পরিষেবা ঠিকঠাক পালিত হচ্ছে কিনা তা এলাকায় ঘুরে রুটিনমাফিক  তদারক করতেন। পুর বোর্ড না থাকায় সেসব নজরদারি বন্ধ। ছোটখাটো যে কোনও প্রয়োজনে বাসিন্দাদের অন্য কাজ ফেলে পুরসভায় হত্যে দিতে হচ্ছে।
advertisement
বাসিন্দারা বলছেন, রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট সংগ্রহ থেকে অনেক পরিষেবা স্থানীয় কাউন্সিলারের অফিসেই মিলতো। কিন্তু বোর্ড না থাকায় এখন কাজ কামাই করে পুরসভায় যেতে হচ্ছে। সেখানে পরিষেবা পেতে অনেক ক্ষেত্রে দেরিও হচ্ছে। নির্বাচন যত তাড়াতাড়ি হয় ততই ভালো।
শহরের বেশিরভাগ রাস্তাই দীর্ঘদিন বেহাল। পানীয় জল প্রকল্পের কাজ চলছে শামুকের গতিতে। বাড়ি তৈরির প্ল্যান পেতেও দেরি হচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রশাসকের অধীনে থাকা পুরসভার কাজে বিরক্ত পুর বাসিন্দাদের একটা বড় অংশ।
advertisement
BURDWAN 23
বর্ধমান পুরসভার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অমিতকুমার গুহ অবশ্য বলেন, দৈনন্দিন পুর পরিষেবায় কোনও খামতি নেই। তবে ৩৫ জন কাউন্সিলর যে কাজ করতেন তা এখন পুরসভার দু একজনকে সামলাতে হচ্ছে এটা ঠিক। সেইসঙ্গে ইদানিং আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, প্যান কার্ড তৈরির প্রবণতা অনেকটাই বেড়েছে। সেসবের জন্য রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট পেতে বাসিন্দারা আগের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যায় পুরসভায় ভিড় করছেন। সেসব খতিয়ে দেখে সার্টিফিকেট দিতে কিছুটা বাড়তি সময় লাগছে।
advertisement
জানুয়ারি মাসে পুরভোট হতে পারে ধরে নিয়ে কিছুদিন আগে তত্পরতা বাড়িয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলি। আবার অনেকে মনে করছিলেন পরীক্ষার মরশুম শেষ করে ভোট হবে এপ্রিল মে মাসে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের ফল বের হতেই পুরভোট জানুয়ারিতে এগিয়ে আসার সম্ভবনা প্রবল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত বলেন,  যেদিনই নির্বাচন হোক আমরা সব আসনে জিতব। মুখ্যমন্ত্রী সবসময়ই রাজ্যের অন্যান্য অংশের মতো এই শহরের উন্নয়নে প্রচুর কাজ করেছেন। মানুষ এনআরসির আতঙ্কে জর্জরিত। বিজেপির আর কোনও জায়গা নেই এখানে।
advertisement
বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী বলেন, রাজ্যের শাসক দল উপনির্বাচনের সাফল্যের ফসল তুলতে আগামী জানুয়ারিতে পুরভোট করতেই পারে।  এনআরসি নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে তৃণমূল। এনআরসি আসলে কি আমরা তা জনগনকে বোঝাবো। দীর্ঘদিন পুর ভোট না হওয়ায় মানুষ সরকারের প্রতি বীতশ্রদ্ধ। সেই ক্ষোভ ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হবে। লোকসভা ভোটে আমরা শহরের ২১টি ওয়ার্ডে জিতেছি।সেই সাফল্য বাড়ানোর ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট আশাবাদী।
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
আগামী জানুয়ারিতেই কি বর্ধমানে পুরভোট? উপনির্বাচনের ফল বেরতেই শুরু জল্পনা
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement