Nadia News: হারিয়ে ‌যাচ্ছে প্রাচীন ভাষা, শান্তিপুর সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে সংস্কৃত সম্ভাষণের আয়োজন

Last Updated:

আদি ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাংলা বিজ্ঞান কিংবা অন্য কোন বিষয়ে পড়াশোনা করা ছেলে মেয়ে অথবা গৃহবধূ অনেকেই এসেছিলেন এই শিবিরে।

+
শান্তিপুর

শান্তিপুর সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে করা আয়োজন

নদিয়া: বিভিন্ন গণমাধ্যম, বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান পড়াশোনা সব কিছুই হিন্দি বাংলা ইংরেজির পরিবেশ অথচ ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সংস্কৃত ভাষা নিয়ে চর্চা বিশেষ লক্ষ্য করা যায় না। অথচ প্রাচীন কলা তা সে নাচ গান পৌরহিত্য কিংবা ইতিহাসের চর্চা আজও রয়েছে সংস্কৃতেই। স্পোকেন ইংলিশ, হিন্দি শেখার মতোই স্বল্প দিনের মধ্যে সংস্কৃত সম্ভাষণ শেখানোর ব্যবস্থা করে থাকেন সংস্কৃত ভারতী নামে এক সংস্থা। শুধুমাত্র ভাষাকে ভালোবেসে গৃহশিক্ষক থেকে শুরু করে সরকারি বিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষকরা এবং অভিজ্ঞ ছাত্রছাত্রীরা বিনা পারিশ্রমিকে আজও রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিরলস ভাবে এই প্রাচীন ভাষাকে পুনরুদ্ধারের জন্য মরিয়া। শান্তিপুর সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে করা হয়ে থাকে দশ দিনব্যাপী সংস্কৃত সম্ভাষণ শিবিরের আয়োজন।
বহু প্রাচীন এই সংস্কৃত ভাষায় লেখা হয়েছে কালিদাসের কাব্য, বেদ, উপনিষদ ,ভারতবর্ষের একাধিক মহাকাব্য পুঁথি, ভগবত গীতা, মহাভারত, রামায়ণ হিন্দু শাস্ত্রের একাধিক ধর্মগ্রন্থ লেখা হয়েছিল সংস্কৃত ভাষায়। এমনকি সে সময়কার জ্যোতিষ শাস্ত্র, জ্যোতির্বিজ্ঞান ,গণিতচর্চা , শল্য চিকিৎসা বিজ্ঞান ও চিকিৎসা ব্যবস্থা, বিভিন্ন শিল্প কলা, সংস্কৃত চর্চা যা কিছু ছিলসবই আজ ভাষার পরিবর্তন ঘটিয়ে ব্যবহৃত হয়ে চলেছে। কিন্তু সৃষ্টির মূল ভাষা ব্যতীত তা কিছুটা স্বাদ বিহীন।
advertisement
advertisement
এ প্রসঙ্গে সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক সুশান্ত মঠ জানান, লাইব্রেরির শতবর্ষ পালনে তারা ১৪ দিনব্যাপী সংস্কৃত সম্ভাষণের ব্যবস্থা করেছিলেন, যার শেষ দিকে অনেকের আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও অংশগ্রহণ করাসম্ভব হয়নি, মূলত তাদের কথা মাথায় রেখেই এবারের আয়োজন। যেখানে শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রী রা তাদের নিজেদের পড়াশুনার প্রয়োজনে নয়, ভাষাটাকে ভালোবেসে আদি বিষয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাংলা বিজ্ঞান কিংবা অন্য কোন বিষয়ে পড়াশোনা করা ছেলে মেয়ে অথবা গৃহবধূ অনেকেই এসেছিলেন এই শিবিরে। আক্ষেপের সুরে তিনি বলেন, সরকারি সদিচ্ছার অভাবেই মূলত এই ভাষার প্রচার এবং প্রসার তলানিতে। অথচ শুদ্ধভাবে বাংলা বলতে গেলেও প্রয়োজন সংস্কৃতর। বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী হলেও লাইব্রেরীতে আসা লাল কাপড়ে জড়ানো বিভিন্ন পুরনো পুথি পড়ার মানুষ ক্রমশ কমে আসছে। সে যুগের ডক্টরেট অর্থাৎ মুনি ঋষিদের লেখনি আজও প্রাসঙ্গিক তাই দেশ ও দশের ইতিহাস জানতে এবং প্রকৃত স্বাদ পেতে এই ভাষা শেখা দরকার।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
এখন দেখার ইংরেজি এবং হিন্দি ভাষার পাশাপাশি তরুন প্রজন্মরা দেশের এই প্রাচীন ও ঐতিহ্যময়ী ভাষাকে আপন করে নেবে,, নাকি ধীরে ধীরে অনভ্যাসের কারণে এই ভাষা চলে যাবে বিলুপ্তির পথে।
Mainak Debnath
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Nadia News: হারিয়ে ‌যাচ্ছে প্রাচীন ভাষা, শান্তিপুর সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে সংস্কৃত সম্ভাষণের আয়োজন
Next Article
advertisement
EXCLUSIVE: লাল কেল্লা বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র কীভাবে রচিত হয়েছিল, সন্ত্রাস ও বিশ্বাসঘাতকতার গল্প
লাল কেল্লা বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র কীভাবে রচিত হয়েছিল, সন্ত্রাস ও বিশ্বাসঘাতকতার গল্প
  • লাল কেল্লা বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র কীভাবে রচিত হয়েছিল

  • সন্ত্রাস ও বিশ্বাসঘাতকতার গল্প

  • এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট

VIEW MORE
advertisement
advertisement