ফের হদিশ মিলল বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র কারখানার, মিউজিক সিস্টেম চালিয়ে বাড়িতেই চলত বন্দুক তৈরির কাজ
Last Updated:
#বারুইপুর: মিউজিক সিস্টেম চালিয়ে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে কাজ চলত। পিয়ালি নদীর পাড়ে ওই বাড়িতে বারুইপুর এসওজি ও কুলতলি থানার পুলিশ হানা দিতেই পর্দা ফাঁস হল। উদ্ধার হল আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ সহ বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। স্থানীয়দের চোখে ধুলো দিয়ে অস্ত্র তৈরির কারবার চালাচ্ছিল বাবা-ছেলে। পুলিশের জালে দুজনই।
পিয়ালি নদীতে মাছ ধরে দিন গুজরান। বাবা-ছেলের সম্পর্কে এই ধারণাই ছিল পাড়া প্রতিবেশীর। ভুল ভাঙল বৃহস্পতিবার রাতে। বারুইপুরের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও কুলতলি থানার পুলিশ হানা দেয় অম্বিকানগরে বিশ্বনাথ মণ্ডলের বাড়িতে। দেখা গেল, বিশ্বনাথের বাড়িতে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারখানা। সেখান থেকে উদ্ধার হল চারটি লং ব্যারেল, দুটি ওয়ান শটার, ছ' রাউন্ড গুলি, প্রচুর অসম্পূর্ণ আগ্নেয়াস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, বন্দুকের বাঁট, হ্যান্ড ড্রিল, হ্যান্ড লেদ, পালিশ করার মেশিন।
advertisement
advertisement
বাপ-বেটা বিশ্বনাথ ও বিকাশ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের থেকে পুলিশ জেনেছে,
-- এই কারখানা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ক্যািনং, বাসন্তী-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হয়
-- নদী পথে আগ্নেয়াস্ত্র জলদস্যুদের কাছে যেত
-- বিহারের মুঙ্গের থেকে লোক এনে কারখানায় কাজ করানো হত
-- দিনে সাউন্ড বক্স চালিয়ে কারখানায় কাজ হত
advertisement
বাবা-ছেলের গ্রেফতারিতে হতবাক প্রতিবেশীরা। শুধু কি এই জেলায় আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করা হত? কাদের কাছ থেকে বরাত পেত? এদের পিছনে কি কোনও বড় চক্র কাজ করছে? ধৃতদের জেরা করে জানতে চাইছে তদন্তকারীরা। এদিনই উত্তর চব্বিশ পরগনার বাগদায় দেশি পিস্তল ও কার্তুজ-সহ বাপি সর্দার নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
November 16, 2018 5:09 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
ফের হদিশ মিলল বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র কারখানার, মিউজিক সিস্টেম চালিয়ে বাড়িতেই চলত বন্দুক তৈরির কাজ