Nadia News: বাবার শেষ ইচ্ছে পূরণ, বড়দিনের কেক বানিয়ে স্বাবলম্বী গৃহবধূ

Last Updated:

বাবার ইচ্ছাতেই আজ কেক বানিয়ে সফল একমাত্র কন্যা, শ্বশুরবাড়ি এবং মায়ের সংসার দুই এখন কেক নির্ভর

+
কেক

কেক বানাচ্ছেন গৃহবধু 

নদিয়া: বড়দিন আসলেই আরও বেশি করে মনে করে বাবার কথা, বাবার ইচ্ছাতেই আজ কেক বানিয়ে সফল একমাত্র কন্যা, শ্বশুরবাড়ি এবং মায়ের সংসার দুই এখন কেকের ব্যবসার উপর নির্ভরশীল।পড়াশোনা করার পরেও চাকরি-বাকরির অবস্থা দেখে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বাবার আদরের একমাত্র কন্যা কেক তৈরি করেই স্বাবলম্বী হল। কিন্তু, এই সুসময় বাবা আর নেই। তাই, বড়দিন আসলেই আরও বেশি করে মনে পড়ে বাবার কথা।
জীবনের লড়াইয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণার এমনই ঘটনা ঘটেছে  নদিয়ার শান্তিপুর ঢাকা পাড়ার। শান্তিপুর রেলওয়ে স্টেশন এক নম্বর প্লাটফর্মে চায়ের দোকান ছিল গণেশ দাসের। বিগত দু’বছর বিভীষিকাময় করোনার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে উপলব্ধি করেছিলেন একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিজের পায়ে দাঁড়াতেই হবে। চাকরি-বাকরির বর্তমান পরিস্থিতি বুঝেই শান্তিপুর কলেজ থেকে স্নাতক হওয়া মেয়েকে কেক বানানো শেখাতে নিয়ে যান প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাসের কাছে । যদিও সে সময় করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল তাই নিস্তব্ধ প্ল্যাটফর্মে গনেশ বাবুর চায়ের দোকানও প্রতীক্ষায় ছিলসুদিনের। যদিও ইতিমধ্যেই মেয়ে প্রিয়া নেট দুনিয়ায় তার তৈরি কেকের ছবি ভিডিও আপলোড করিয়ে দু একটি অর্ডার পেতে শুরু করেছে। অবশেষে করোনার ভয়াল গ্রাস থেকে একটু একটু করে স্বাভাবিক পরিস্থিতি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দোকানেও কেক বিক্রি শুরু হয়। বাবার মুখে মেয়ের তৈরি করা কেকের প্রশংসায় চা এবং অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যর থেকে কেকের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে ক্রমশ। মাত্র এক বছরের মধ্যে আর্থিক সচ্ছলতা এবং দোকানের সুদিন ফিরতেই, সামান্য পেটের সমস্যা থাকলেও মূলত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিন বছর আগে মৃত্যু হয় গণেশ বাবুর।
advertisement
আরও পড়ুন: ছোটদের পছন্দের ও দারুণ উপকারি এই ক্যান্ডি খুব সহজেই বানান বাড়িতে!
কিন্তু বাবার কথা ভেবেই প্রিয়ার পড়াশোনা থেকেও এই কেক তৈরির ব্যবসায়ী মনোনিবেশ করে। মা পম্পা দাস সারাদিন সামলান দোকান। মেয়ের কেক তৈরিতে সহযোগিতা করতে করতে তিনিও শিখে ওঠেন। মেয়ে প্রিয়া, একদিকে নেট দুনিয়ায় অর্ডার এবং সাপ্লাই অন্যদিকে নিজেদের দোকানের মাধ্যমে বিক্রি করে দুটি পেট চলতো কোন রকমে। তবে সম্প্রতি বছরখানেক আগে প্রিয়ার বিবাহ হয় বারুইপুরে। সেখানেও বিয়ের আগে স্বামীর সেভাবে কিছু না করলেও শান্তিপুরের তাঁত শাড়ি নিয়ে বাড়িতে পড়ে থাকা একটি দোকান খোলেন আর সেই দোকানে স্ত্রীর বানানো কেকের বিজ্ঞাপন দিয়ে এখন জনপ্রিয় কেকের দোকান। এমনকি সেখানে মেয়েরাও স্বনির্ভর হতে চাইছে প্রিয়াকে দেখে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: বড়দিনের আগের রাতে কেন ঝুলিয়ে রাখা হয় লাল মোজা? বহু মানুষ ভুল উত্তর দিয়েছেন
তবে শান্তিপুরে মা এবং বারুইপুরে স্বামী এখন প্রিয়ার বড় সেলসম্যান । দুই বাড়ির ব্যবসা সামলে এই মুহূর্তে সেই সুযোগ না থাকলেও ইচ্ছা আগামীতে কেক তৈরি করা শিখিয়ে সেখানকার মহিলাদের স্বনির্ভর করা । তবে দিনে দিনে প্রস্তুতকারকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সে দুশ্চিন্তায় নেই কারণ হিসেবে জানায়, এখন বিবাহ বার্ষিকী জন্মদিন সহ যে কোনও আনন্দ অনুষ্ঠান এমনকি খেলার মাঠ কিংবা রাজনৈতিক মহলেও কেক কাটার প্রবণতা সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থাতেও, তাই ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে বিক্রিও। তবে একদিকে বারুইপুর অন্যদিকে শান্তিপুর প্রিয়ার হাতে এখন দুই ব্যবসার দায়িত্ব নির্ভরশীল দুটি পরিবার তাই বাবার সেদিনের ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। তবে ২৫ ডিসেম্বর এলে বাবার কথা আরও বেশি করে মনে পড়ে প্রিয়ঙ্কার।
advertisement
Mainak Debnath
Click here to add News18 as your preferred news source on Google.
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে  ক্লিক করুন এখানে ৷ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Nadia News: বাবার শেষ ইচ্ছে পূরণ, বড়দিনের কেক বানিয়ে স্বাবলম্বী গৃহবধূ
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement