East Bardhaman News: চাহিদা নেই তাঁতের শাড়ির, পুজোর আগে মন খারাপ তাঁতিদের 

Last Updated:

চাহিদা নেই একেবারে। পুজোর আগে তাই মনখারাপ জেলার তাঁতিদের।

+
তাঁতি তাঁত

তাঁতি তাঁত বুনছেন

পূর্ব বর্ধমান : চাহিদা নেই একেবারে। পুজোর আগে তাই মনখারাপ জেলার তাঁতিদের। সামনেই দুর্গাপুজো। আর বাঙালির পুজো মানেই নিজেদের সাধ্যমত নতুন শাড়ি , নতুন পোশাকে সেজে ওঠা। কয়েক বছর আগেও পুজোর আগের এই সময়টা সেই শাড়ির যোগান দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হতো এই এলাকার তাঁত শিল্পীদের। রীতিমত দিন রাত পরিশ্রম করে শাড়ি তৈরি করতে হততাদের। পুজোর দিন দুয়েক আগে পর্যন্ত ব্যস্ততা থাকত তুঙ্গে। এলাকায় গেলেই কানে আসততাঁত বোনার শব্দ। কিন্তু এখন সে সবই অতীত। পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী ১,পূর্বস্থলী ২, কালনা, কাটোয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে তাঁতের কাজ হয়। এর মধ্যে সব থেকে বেশি তাঁতের কাজ হতপূর্বস্থলী ১ এবং ২ এলাকায়।
ভালো চাহিদা ছিল এখানকার শাড়ির। বছরের পর বছর ধরে বংশ পরম্পরায় এই কাজের সঙ্গে যুক্ত এখানকার শিল্পীরা। তবে এই বছর পুজোতে নেই ব্যাস্ততার সেই চেনা ছবিটা। করোনার সময় থেকে পড়তে শুরু করেছে তাঁতের শাড়ির চাহিদা। এই বছর আর একেবারেই চাহিদা নেই বলেই জানাচ্ছেন উক্ত এলাকার তাঁতিরা। এই প্রসঙ্গে তাঁত শিল্পী তপন বসাক জানিয়েছেন, “পুজোর আগে চরম ব্যস্ততা থাকত। কিন্তু এখন আর একেবারে চাহিদা নেই। কোনও রকমে দিন চলে। আগে আমার অনেক তাঁতযন্ত্র ছিল। কিন্তু এখন মাত্র কয়েকটা পড়ে রয়েছে।”
advertisement
advertisement
এই প্রসঙ্গে জেলার এক মহিলা তাঁত শিল্পী বন্দনা হালদার জানিয়েছেন, “একসময় আমরা স্বামী স্ত্রী দুজনে মিলে জোর কদমে তাঁতের কাজ করতাম।কিন্তু আজ তাঁতের কাজ করে আর সংসার চালানো সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তাই আমার স্বামী কাজের সন্ধানে পাড়ি দিয়েছে অন্যত্র। সেখানেও সেভাবে কাজ হয় না কোনও রকমে কষ্টের মধ্য দিয়ে আমাদের দিন চালাতে হয়। কয়েক বছর আগে দুর্গা পুজোতে আমাদের চরম ব্যস্ততা থাকত। আমরা রাত দিন জেগে কাজ করতাম। কিন্তু সে সব এখন অতীত।”
advertisement
হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন পরেই ঢাকে পড়বে কাঠি। শারদ উৎসবে সামিল হবে হয়ত অনেকেই। কিন্তু, সেই অর্থে হয়ত উৎসবের আমেজ উপভোগ করতে পারবে না এই সকল এলাকার তাঁতশিল্পীরা। কারণ, সুরাট এবং অন্যান্য জায়গার পাওয়ার লুম ফিকে করে দিয়েছে তাদের শিল্পের জৌলুস।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
তবুও, নামমাত্র কয়েকটি তাঁত যন্ত্র আগলে এখন অর্ডারের প্রত্যাশায় দিন গুনছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর তাঁত শিল্পীরা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Bardhaman News: চাহিদা নেই তাঁতের শাড়ির, পুজোর আগে মন খারাপ তাঁতিদের 
Next Article
advertisement
Messi GOAT Tour Concert: মেসির সফর ঘিরে সন্দেহের ‘কালো মেঘ’- যত দ্রুত সম্ভব টিকিটের টাকা ফেরত দিতে আয়োজকদের নির্দেশ দিল কলকাতা পুলিশ
টিকিটের টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ কলকাতা পুলিশের, মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে সন্দেহের কালো মেঘ
  • এদিকে আরও নানা বিষয় নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন৷ তারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, ফুটবল মাঠে কখনই জলের বোতল নিয়ে মাঠে প্রবেশের অনুমতি থাকে না। আজকে কি করে মাঠে জলের বোতল নিয়ে ঢুকলেন দর্শকরা। মাঠের ভেতরে ৩০০ টাকা করে জলের বোতল বিক্রি হয়েছে বলে খবর। প্রথমে সেই বোতলই ছোড়া শুরু হয়।

VIEW MORE
advertisement
advertisement