আধুনিকতার যুগে বিলুপ্তির পথে 'এই' আলো! নতুন প্রজন্ম নামও শোনেনি 'তার', দেখুন তো আপনি চেনেন কিনা

Last Updated:

Hajak Lights: এক সময় রাতের উজ্জ্বল আলোর জন্য সবচেয়ে ভাল উৎসের নাম ছিল ‘হ্যাজাক লাইট’। সেটিই আজ অন্ধকারে। বিয়েবাড়ি থেকে যাত্রাপালা আলোকিত করত এই হ্যাজাক লাইট। বর্তমানে হ্যাজাকের ব্যবসা বিলুপ্তির পথে। নতুন প্রজন্ম নামও শোনেনি 'তার'।

+
হ্যাজাক লাইট

হ্যাজাক লাইট

মুর্শিদাবাদ, তন্ময় মন্ডল: এক সময় রাতের উজ্জ্বল আলোর জন্য সবচেয়ে ভাল উৎসের নাম ছিল ‘হ্যাজাক লাইট’। সেটি আজ অন্ধকারে, নতুন প্রজন্মের কাছে অচেনা, নাম না-জানা অপরিচিত বস্তু। শুধু তাই নয়, হ্যাজাক লাইট ভাড়া দেওয়া আর মেরামত করার জমজমাট ব্যবসাও বিলুপ্ত। বর্তমানে প্রযুক্তির যুগ ভুলতে বসেছে এই আলো ও তার সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যবসাকে।
জানা যায়, ১৯১০ সালে জার্মানের ম্যাক্স গ্রেটেজ হ্যাজাক বাতির আবিষ্কার করেন। পিতল বা সিলভার দ্বারা তৈরি ওই বাতি কেরোসিন বা গ্যাসের ব্যবহার করে দেশলাইয়ের আগুন লাগানোর পর বায়ুর চাপের সাহায্যে উজ্জ্বল আলো ছড়ায়।
আরও পড়ুনঃ জঙ্গলমহলে জাঁকিয়ে বসছে বাঘের আতঙ্ক! অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ ঘিরে রহস্য, ফিরবে কি ২০১৮-র মর্মান্তিক স্মৃতি? কী বলছে বন দফতর?
বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু দোকানে এই হ্যাজাক লাইট বিক্রি করা হলেও তা সংখ্যায় অনেক কম। গ্রামীণ এলাকায় কোনও পুজো পার্বণ হলে অনেকেই এখনও ব্যবহার করে থাকেন এই হ্যাজাক। কিন্তু কালের নিয়মে আজ তা বিলুপ্তির পথে। আগে দৈনিক গড়ে ২০ থেকে ২৫টি বিক্রি করা হলেও বর্তমানে মাসে ২ থেকে ৩টি গড়ে বিক্রি হয়। যার দাম পড়ে প্রায় ৪৫০ টাকা।
advertisement
advertisement
জেলার প্রবীণ ব্যক্তিরা বলেন, ‘বিয়ে-সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে দোকান থেকে ভাড়ায় এনে জ্বালাতাম, হাট-বাজারে দোকানিরা জ্বালাত, কত সুন্দর আলো দিত! এখন আর কোথাও এ বাতি চোখে পড়ে না। কারণ বর্তমানে আলো ঝলমল রকমারি বিদ্যুৎ থাকার কারণে এই হ্যাজাকের সংখ্যা অনেকটাই কম’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একসময় হ্যাঁজাক লাইট ভাড়া দেওয়া ও মেরামত করার কাজে জড়িত থাকা ব্যবসায়ীরা জানান, ‘এ পেশার ভবিষ্যৎ না থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই ছেড়েছি কাজ, নিজের ছেলেকেও অন্য পেশায় দিয়েছি’। তবে বর্তমানে দোকানে রাখা থাকলেও মাঝে মাঝে অনেকজন আসেন এই হ্যাজাক লাইট ক্রয় করার জন্য।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
আধুনিকতার যুগে বিলুপ্তির পথে 'এই' আলো! নতুন প্রজন্ম নামও শোনেনি 'তার', দেখুন তো আপনি চেনেন কিনা
Next Article
advertisement
Indian Railways: বৃহন্নলা সেজে ট্রেনে উঠে তোলাবাজি, হেনস্থা! রেল সফরে এমন বিপদে কী করবেন যাত্রীরা? জেনে নিন
বৃহন্নলা সেজে ট্রেনে উঠে তোলাবাজি, হেনস্থা! রেল সফরে এমন বিপদে কী করবেন যাত্রীরা? জেনে নিন
  • বৃহন্নলা সেজে ট্রেনে উঠে যাত্রীদের হয়রানি৷

  • যাত্রী হয়রানি উঠতে কড়া পদক্ষেপ রেলের৷

  • রেল মদদ পোর্টাল, ১৩৯-এ ফোন করলে দ্রুত ব্যবস্থা৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement