Gramin Haat: বাংলার এই গ্রামীণ হাটে হিরে থেকে জিরে পাবেন সব কিছু

Last Updated:

Gramin Haat: চাষি এবং স্থানীয়রা ক্রেতা হিসেবে ভিড় জমান শুনুক পাহাড়িতে। তবে বিক্রেতারা আসেন বাঁকুড়ার প্রতিটি কোণা থেকেই। বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত জঙ্গলমহল হোক কিংবা নিম্নভূমি সোনামুখী, ইন্দাস সব জায়গা থেকেই বিক্রেতারা আসেন

+
পশুর

পশুর হাট 

বাঁকুড়া: শুনুক পাহাড়ির পশুর হাট সম্ভবত অতি বিরল এক উদাহরণ। এই প্রাচীন গ্রামীণ হাটে আপনি হিরে থেকে জিরে সবকিছু পেয়ে যাবেন! বাঁকুড়ার সবচেয়ে বড় পশুর হাট এটিই। গবাদি পশু, ভেঁড়া, হাঁস, মুরগি, ছাগল বেচা-কেনা হয় এই হাটে। প্রতি সপ্তাহের সোমবার দূর দূরান্ত থেকে বাঁকুড়ার শুনুক পাহাড়িতে জমা হন হাজার হাজার মানুষ।
বাঁকুড়া-১ ব্লকের আন্দারথোল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শুনুক পাহাড়ি গ্রামের পঞ্চায়েত অফিসের ঠিক উল্টো দিকের বিরাট মাঠে বসে এই হাট। গত ৫৩ বছর ধরে এই হাট বসছে। এখানে পশু ছাড়াও পেয়ে যাবেন গয়নাগাটি থেকে শুরু করে বাড়ির রন্ধনশালার প্রয়োজনীয় মসলা, সবকিছু। হিরে থেকে জিরে সবকিছুই এই গ্রামীণ হাটে হাতের সামনেই পাবেন।
advertisement
advertisement
গ্রামের কৃষকরা এখানে শাক সবজি, ফলমূল সাজিয়ে বসে বিক্রি করেন। রয়েছে বাঁকুড়ার গামছা থেকে আধুনিক জিন্সের প্যান্ট এবং জামা কাপড়। এছাড়াও শস্য বীজ, তৈল বীজ, ভেষজ দ্রব্যাদি এবং ঝুড়ি থেকে ঝাঁটা কিংবা কাঠের খাটিয়া অথবা রং-বেরঙের মসলা, সবই যেন হাতের নাগালের মধ্যেই। রং এবং ফ্লেভারের এক অপূর্ব মিশ্রণ এই হাট।
advertisement
চাষি এবং স্থানীয়রা ক্রেতা হিসেবে ভিড় জমান শুনুক পাহাড়িতে। তবে বিক্রেতারা আসেন বাঁকুড়ার প্রতিটি কোণা থেকেই। বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত জঙ্গলমহল হোক কিংবা নিম্নভূমি সোনামুখী, ইন্দাস সব জায়গা থেকেই বিক্রেতারা আসেন এখানে। এই হাটে পসার সাজিয়ে বসেন ব্যাবসায়ীরা। তৈরি করা রয়েছে ছোট ছোট খড়ের ছাউনি দেওয়া ঘর। এই ঘরগুলি তপ্ত রোদের হাত থেকে বাঁচার জন্য বিক্রেতারা ব্যবহার করেন। হাটের দিন বসে অস্থায়ী ভাতের হোটেল। বাঁকুড়ার দত্ত পরিবারের জমির মালিকানায় বসে এই হাট। বর্তমানে কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা মধুসূদন দত্ত জানান, প্রায় ৫৩ বছরের পুরানো এই হাট। গরু, মোষ, ছাগল এবং ভেড়াই মূলত বিক্রি হয় এখানে। তবে আজকাল বহু অন্যান্য দামি জিনিসও পাওয়া যাচ্ছে।
advertisement
প্রতি সপ্তাহের সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রমরমিয়ে চলে এই হাট। বাঁকুড়া থেকে খাতড়াগামী রাস্তার উপরে সকাল থেকেই পশুর ভিড় থাকে চোখে পড়ার মত। আবার পড়ন্ত বিকেলের আগে গনগনে দুপুরের মধ্যেই খুরের ধুলো উড়িয়ে তারা ফিরে যায় যে যার গন্তব্যে। শুরু হয় পরের সপ্তাহের অপেক্ষা।
advertisement
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Gramin Haat: বাংলার এই গ্রামীণ হাটে হিরে থেকে জিরে পাবেন সব কিছু
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: উত্তরে বৃষ্টির পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে আগামী সপ্তাহে, উইকেন্ডে আবহাওয়া কেমন থাকবে?
উত্তরে বৃষ্টির পূর্বাভাস, দক্ষিণে বৃষ্টি হতে পারে আগামী সপ্তাহে, উইকেন্ডে আবহাওয়া কেমন?
  • উত্তরে আজ বৃষ্টির পূর্বাভাস

  • দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে আগামী সপ্তাহে

  • রইল আবহাওয়ার আপডেট

VIEW MORE
advertisement
advertisement