#বর্ধমান: টানা লকডাউনের জেরে মাছের আকাল দেখা দিয়েছে বর্ধমানের বাজারগুলিতে। বৃহস্পতিবার লকডাউন ওঠার পরে বাজার বসলেও সে ভাবে মাছের দেখা মেলেনি। খুব কম পরিমাণ মাছ এসেছিল বাজারগুলিতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেসব মাছ শেষ হয়ে যায়। লকডাউনের জোরে জোগান কম থাকার জন্য মাছ অমিল হয়ে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা। জোগানের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি থাকায় এদিন মাছের দামও ছিল আকাশছোঁয়া।
বর্ধমান শহর ও তার আশপাশ এলাকায় বুধবার পর্যন্ত টানা আট দিন লকডাউন চলেছে। বৃহস্পতিবার থেকে কয়েকদিন যে আপাতত লকডাউন থাকছে না তা ঘোষণা করা হয় বুধবার রাতে। তার আগে পর্যন্ত লকডাউনেরর মেয়াদ বাড়বে কিনা তা নিয়ে দোলাচলে ছিলেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই। লকডাউনের মেয়াদ বাড়লে ক্রেতা মিলবে না এই আশঙ্কায় পাইকারি বাজারে সেভাবে স্থানীয় মাছ আসেনি। এদিন বাজারে বেশিরভাগ বসিরহাটের মাছের দেখা মিলেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, কাটোয়া থেকে শুরু করে মেমারি, রায়না, খণ্ডঘোষ ও মেদিনীপুর থেকে প্রচুর মাছ বর্ধমানের বাজারে আসে। স্থানীয় টাটকা মাছের চাহিদা বরাবরই বেশি। কিন্তু লকডাউনের জন্য মাছ ধরা বন্ধ ছিল। বাজার চালু থাকবে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেননি অনেকেই। সেকারণেই পাইকারি বাজারে সেভাবে মাছ আসেনি। অনেক দিন পর বাজারে গিয়ে মনের মতো মাছ না মেলায় হতাশ হন ক্রেতাদের অনেকেই।
এদিন বর্ধমানের বাজারগুলিতে দেড় কেজি ওজনের স্থানীয় কাতলা মাছ কেজি প্রতি তিনশো টাকায় বিক্রি হয়েছে। ছোট পোনা মাছ বিক্রি হয়েছে একশো আশি টাকা কেজি দরে। এক কেজি ওজনের বসিরহাটের রুই বিক্রি হয়েছে একশো আশি থেকে দুশো টাকা কেজি দরে। মাঝারি সাইজের চিংড়ির কেজিপ্রতি দাম ছিল পাঁচশো টাকা। সাতশো আটশো গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হয়েছে আটশো টাকা কেজি দরে।
বিক্রেতারা বলছেন, হঠাৎ হঠাৎ প্রশাসনের নির্দেশে লকডাউন চালু হয়ে যাচ্ছে। তাই অনেকেই মাছ ধরে বাজারে পাঠানোর ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার দিকে তাকিয়ে রয়েছেন অনেকেই। তার জেরেই বাজারে স্থানীয় মাছের জোগান অনেক কম থাকছে। তার ওপর এক বেলা বাজার বসেছে। তাই খুচরো বিক্রেতারাও বেশি মাছ বিক্রি করার ঝুঁকি নিচ্ছেন না।
SARADINDU GHOSH
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Burdwan, Fish Market, Lockdown