#পশ্চিম মেদিনীপুর: আশ্চর্য ! মৃত ব্যাক্তি'র নামে এফআইআর, তদন্তও করবে পুলিশ ! মরেও আর শান্তি নেই! মৃত্যুর পরেও হাতকড়ার হাতছানি। সৌজন্যে পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানার এই কীর্তিতে হতবাক হেমতপুর মৌজার বাসিন্দারা ।
কয়েক মাস আগে চন্দ্রকোনা পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সম্পত্তি নিয়ে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পরে দুই পরিবার। দাস ও বাড়ুই পরিবারের গন্ডগোল হাতাহাতি পর্যায়ে পৌঁছে যায়। রিনা দাস, চন্দ্রকোনা থানায় অভিযোগ করেন বাড়ুই পরিবারের বিরুদ্ধে। তাঁদের পরিবারের ওপর হামলার এবং তাঁর ওপর শ্লীলতাহানির চেষ্টা'র অভিযোগ আনেন । কাঠগড়ায় তোলেন মুকুল বক্সি, রঞ্জিত বাড়ুই, সনাতন বাড়ুই, বিজয় বাড়ুই, অজয় বাড়ুই এবং সুশীল পাণ্ডের বিরুদ্ধে। ফৌজদারী কার্যবিধি মেনে ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতিতে হয় এফআইআর। ৯/১২/২০১৯ ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতিতে এফআইআর-এ অভিযোগ আসে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩,৩২৪, ৩০৭,৩৭৯, ৪২৭,৪৪৭,৫০৬ এবং ৩৪ নং ধারায়। মারধর, খুনের চেষ্টা, হুমকি সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ।
পাশাপাশি ২৮,০০০ টাকা মূল্যের সোনার হার চুরির অভিযোগও হয়। একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হওয়ায় গ্রেফতারের আশঙ্কা তৈরি হয় বাড়ুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। কিন্তু এফআইআরে অভিযুক্তদের নাম দেখতে গিয়েই নজরে আসে অজয় বাড়ুই-এর নাম। এমনটা কি করে সম্ভব! যিনি ৫বছর আগে মৃত হয়েছেন তিনি শ্লীলতাহানি এবং মারধর করলেন কীভাবে! বিবাদ যতই হোক তাই বলে মৃত ব্যক্তির নামে শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ!
সেই এফআইআর-এর কপি
বাড়ুই পরিবারের সদস্যরা চন্দ্রকোনা পৌরসভায় যোগাযোগ করলেন। চেয়ারম্যান সব দিক খতিয়ে দেখে শংসাপত্র প্রদান করলেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ চেয়ারম্যানের দেওয়া শংসাপত্রে পরিষ্কার উল্লেখ করে দেওয়া হয় অজয় বাড়ুই "মৃত"। তাহলে মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করবে কীভাবে! কীভাবে নেবেন মৃত-অভিযুক্তের বয়ান! পুলিশের এমন খামখেয়ালীপনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বাড়ুই পরিবার। পরিবারের আইনজীবী সৌমশুভ্র রায় জানান, "আপাতত বাড়ুই পরিবারের সদস্যদের আগাম জামিন চেয়ে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে আবেদন রেখেছি। মঙ্গলবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা।"
ARNAB HAZRA
Published by:Elina Datta
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।