#হুগলি: যৌন সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় যুবকের মলদ্বারে কাঠের টুকরো ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগে অবশেষে গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত ৷ মগড়াহাটের কলেজ ছাত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে হুগলির দেবানন্দপুরের মাধব মন্ডল ও ইশ্বরবাগের বসির আলি নামে দুই জনকে গ্রেফতার করল চুঁচু্ড়া থানার পুলিশ। মগড়াহাটের কলেজ ছাত্রকে শরীরে কাঠের টুকরো ঢুকিয়ে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ ৷ থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই তৎপর পুলিশ গ্রেফতার করল দুই অভিযুক্তকে ৷ অভিযোগ, যৌন সম্পর্ক স্থাপনে রাজি না হওয়ায় নির্যাতিত যুবকের পায়ুতে কাঠের টুকরো ঢুকিয়ে দেয় দুই অভিযুক্ত মাধব মন্ডল ও বসির আলি ৷ হুগলির মাধব মন্ডল পেশায় কাঠ মিস্ত্রি। সেই ওই কাঠের দন্ডটি তৈরী করেছিলো বলে পুলিশের অনুমান। ধৃতের প্রতিবেশীরা টিভি দেখে এই ঘটনা জানতে পারেন। আদতে কাপাসডাঙার বাসিন্দা মাধব মন্ডল দেবানন্দপুরে বছর তিনেক আগে জমি কিনে বাড়ি করে। সেই বাড়িতে বহিরাগতদের আসা যাওয়া ছিল। গানবাজনা মদের আসর বসত। পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে যে মোবাইল উদ্ধার করেছে তাতে বিকৃত যৌনাচারের বহু ছবি ও ভিডিও পাওয়া গিয়েছে । ফেসবুকে জেন্ডার গ্রুপ থেকে ছাত্রের সঙ্গে পরিচয় হয় অভিযুক্তদের। ঘটনার দিন বসির মগড়াহাটের ওই কলেজ ছাত্রকে ফোন করে ডাকে । সেই ফোনের টাওয়ার লোকেশান ট্রাক করে অভিযুক্তদের সন্ধান পায় পুলিশ । তাঁদের বিরুদ্ধে ৩৭৭,৩০৭,৩৪১,৩২৩,৩৭৯,১২০/B,৫০৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনায় ধৃত বসির আলির দাবী, ঋক সরকার নামে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। নির্যাতিত ছাত্রও নিজেকে মেয়ে পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে বন্ধুত্ব পাতায় বলে জানিয়েছে সে। মঙ্গলবার ব্যান্ডেলে নেমে দেবানন্দপুরে মাধব মন্ডলের বাড়িতে যায়। ছাত্রই জোর করে তাদের। তখনই মারামারি হয়। মাধব মন্ডলের দাবী, তার বাড়িতে গানের আসরে অনেকেই আসে। ওই কাঠের দন্ড সেই বানিয়েছে। অনেকে তাঁকে অর্ডার দেয় বানিয়ে দিতে। ছাত্রকে নির্যাতনে সে দায়ী নয়। পুলিশ অভিযুক্তদের দাবী খতিয়ে দেখছে। ছাত্রের মোবাইলটি উদ্ধার হলেও কিপ্যাড লক থাকায় তা খোলা যায়নি। হাসপাতালে সুস্থ হলে ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আরও তথ্য সংগ্রহ করবে পুলিশ। ধৃত দুজনকে আগামী কাল চুঁচু্ড়া আদালতে তোলা হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Facebook Friend, Rectum, Sexual Relationship consent, Sexual Torture