হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
বিদ্যুতের তারে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠলো যুবক! জ্বলন্ত মানুষ দেখে পালাল সহকারীরা

বিদ্যুতের তারে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠলো যুবক! জ্বলন্ত মানুষ দেখে পালাল সহকারীরা

আজ দুপুরে সেই ট্রান্সফরমার সারানোর কাজ শুরু করে ঠিকাদার। দু’জন ঠিকা শ্রমিক বিদ্যুৎবাহী তারে কাজ করছিল।

  • Share this:

Saradindu Ghosh

#বর্ধমান: আলো নয়, ইলেকট্রিক পোস্টে জ্বলছে এক যুবক!

তা দেখেই শোরগোল এলাকা জুড়ে। কিন্তু নামানো যায় কী করে! লরি দাঁড় করিয়ে তার ওপর মই লাগিয়ে যখন নামানো হল তাঁকে ৷ তখন তাঁর প্রায় মৃতপ্রায় অবস্থা। সেই লরিতে করেই তাকে নিয়ে যাওয়া হল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

কোথায় ঘটলো এমন ঘটনা! ওই যুবক বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠেছিলই বা কেন? বর্ধমানের নেড়োদিঘি এলাকায় ১১ হাজার ভোল্টের একটি ট্রান্সফর্মার প্রায়ই খারাপ হয়ে যায়। বারবার বিদ্যুৎ দপ্তরকে জানিয়েও কোনও সুরাহা এতদিন হয়নি। অবশেষে আজ দুপুরে সেই ট্রান্সফরমার সারানোর কাজ শুরু করে ঠিকাদার। দু’জন ঠিকা শ্রমিক বিদ্যুৎবাহী তারে কাজ করছিল। হঠাৎই বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দেওয়া হয় ওই লাইনে। তাতেই আগুন ধরে যায় একজনের দেহে। আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। অন্য এক ঠিকা শ্রমিক ভয়ে পালিয়ে যায়। ঠিকাদারের লোকেরাও সেখান থেকে দায়িত্ব এড়িয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ।

জ্বলতে থাকা ওই যুবকের আর্তনাদ শুনে ছুটে আসেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু তাকে নামানো যায় কী করে? কোথায় মই! কোথায় ত্রিপল? এক ব্যক্তির উপস্থিত বুদ্ধিতে দাঁড় করানো হয় একটি লরি। সেই লরির ত্রিপল  নিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা সেই লরিতেই তাঁকে হাসপাতালে পাঠান।

স্হানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনায় বিদ্যুৎ দফতর ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, কার গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটলো তা তদন্ত করে বের করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। ওই ব্যক্তিকে মরণাপন্ন অবস্থায় দেখেও ঠিকাদার বা তাঁর লোকজন পালিয়ে গেল কিভাবে তা ভেবেই অবাক সকলে। বাসিন্দারা বলছেন, মানুষ এতটা অমানবিক হতে পারে ভাবাই যাচ্ছে না। ওই যুবকের চিকিৎসার যাবতীয় খরচ ঠিকাদার ও বিদ্যুৎ দফতরকে দিতে হবে বলেও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। ওই যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জাানিয়েছে  বর্ধমান মেডিকেল।

Published by:Simli Raha
First published:

Tags: Electric pole, Electrified