East Medinipur News: বর্ষার শুরুতেই আতঙ্ক! সমুদ্র বাঁধের বেহাল অবস্থা নিয়ে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

Last Updated:

বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর। আর তাতেই অশনি সংকেত দেখছেন জেলার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজন। কারণ বেহাল সমুদ্র বাঁধের অবস্থা।

পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র বাঁধ নিয়ে চিন্তা
পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র বাঁধ নিয়ে চিন্তা
শংকরপুর: জুলাই মাসে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বর্ষা শুরু হয়েছে। ফুলেফেঁপে উঠেছে খাল বিল নদী নালা। অন্যদিকে বিভিন্ন জলাধার থেকে ছাড়ছে জল। বাড়ছে সমুদ্রের জলস্তর। আর তাতেই অশনি সংকেত দেখছেন জেলার সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজন। কারণ বেহাল সমুদ্র বাঁধের অবস্থা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শংকরপুর, জামড়া, চাঁদপুর, বালিশাই সহ উপকূলবর্তী গ্রামগুলির কয়েক হাজার হাজার পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোন কাজ হয়নি অভিযোগ গ্রামবাসীদের। তাদের দাবি অবিলম্বে কংক্রিটের স্থায়ী সমুদ্র বাঁধ তৈরি করতে হবে, না হলে আগামীদিনে তারা বৃহত্তর জন আন্দোলন গড়ে তুলবে।
প্রসঙ্গত ২০২১ সালে ইয়াস ঝড়ে দিঘা মোহনা থেকে শংকরপুর এলাকার প্রায় তিন কিলোমিটার সমুদ্র বাঁধ কার্যত সমুদ্রের তলায় চলে যায় এমনকি সমুদ্র বাঁধ মেরামতির সময় ঝড় শুরু হয়ে যাওয়ার সেই অসমাপ্ত কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। যেটুকু কাজ হয়েছিল সেটুকু সমুদ্রে গর্ভে চলে গেছে। তাই প্রতিবছর সামুদ্রিক জোয়ারে একের পর এক সমুদ্রে পাড়ের এলাকা দোকান ঘর গৃহস্থলী সমুদ্র গর্ভে তালিয়ে গেছে। এমন কি বর্ষাকালে অমাবস্যা পূর্ণিমার জোয়ারে শংকরপুর, জামরা, চাঁদপুর সহ এলাকার বিস্তীর্ণ গ্রাম জলমগ্ন হয়ে যায়। ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিতে হয় উঁচু জায়গায় প্রশাসনকে জানিয়ে তেমন কোনও কাজ হয়নি। তাই ক্ষোভ গ্রামবাসীরা মনে।
advertisement
advertisement
তাদের দাবি, অবিলম্বে এই অসমাপ্ত কাজ এবং স্থায়ী কংক্রিটের বাঁধ গড়ে তোলা হোক শংকরপুর এলাকায়। শুধু এলাকার বাসিন্দা নয় ওই এলাকার কয়েক হাজার মৎস্যজীবী যাদের জীবন জীবিকা নির্ভর শংকরপুর মৎস্য বন্দরের ওপর তারাও আতঙ্কে রয়েছেন। প্রতিবছর বছর সামুদ্রিক জলে কয়েক লক্ষ টাকার খতির সম্মুখীন হয়েছিলেন এই শুটকি ব্যবসায়ীরা। সব মিলিয়ে বছরের পর বছর বর্ষাকালে এলেই আতঙ্কে থাকেন এই সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার মানুষজন।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকার বাসিন্দা তথা প্রাক্তন বিধায়ক তথা মৎস্যজীবী নেতা স্বদেশ নায়ক বলেন, ‘ যতটুকু জানতে পেরেছি ২০২১ সালে কাজ হওয়ার সময় ঝড়ে সেই বাঁধ কার্যত বিপর্যস্ত এখনও পর্যন্ত মেরামতির তেমন কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি তবে অসমর্থিত সূত্রে খবর এই বাঁধ পরিকল্পনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানতে পেরেছি। এই মুহূর্তে স্থায়ী কংক্রিটের বাঁধ না হলেও আপদ কালীন এলাকাকে বাঁচাতে হলে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
advertisement
অপরদিকে রামনগর এক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিতাই সার বলেন, ‘সরকার এই বিষয়টি দিকে নজর রেখেছে ডিপিআর তৈরি কাজ চলছে এই মেরামতির জন্য বিশাল অংকের টাকার প্রয়োজন। তবে মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।’ কংক্রিটের সমুদ্র বাঁধ না থাকায় বর্ষাকালে ক্রমশ এগিয়ে আসছে সমুদ্র। সমুদ্র গর্ভে বিলীন হচ্ছে উপকূলবর্তী গ্রামের ঘর বাড়ি সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। আতঙ্কে রয়েছে কয়েক হাজার পরিবার। সবমিলিয়ে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীর। কবে স্থায়ী সমুদ্র বাঁধ নির্মাণ হবে সে নিয়ে প্রতীক্ষার প্রহর গুনছে উপকূলবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষ।
advertisement
সৈকত শী
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Medinipur News: বর্ষার শুরুতেই আতঙ্ক! সমুদ্র বাঁধের বেহাল অবস্থা নিয়ে বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement