গ্রামেই গোপনে গোপনে চলছিল সাংঘাতিক কাজ...পুলিশ হানা দিতেই সব ফাঁস! স্বাধীনতা দিবসের আগে বড় সাফল্য

Last Updated:

স্বাধীনতা দিবসের আগে বড়সড় সাফল্য ভূপতিনগর থানার পুলিশের। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।

পুলিশ
পুলিশ
ভূপতিনগর, পূর্ব মেদিনীপুর, মদন মাইতি: স্বাধীনতা দিবসের আগে বড়সড় সাফল্য ভূপতিনগর থানার পুলিশের। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। অভিযানে বেরিয়ে আসে বিপুল পরিমাণ বিপজ্জনক শব্দবাজি, আতসবাজি এবং বাজি তৈরির জন্য ব্যবহৃত নানা ধরনের মশলা ও সরঞ্জাম। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই সমস্ত বাজি আসন্ন পুজো ও উৎসবের মরশুমে বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। যদি তা বাস্তবায়িত হত, তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হতে পারত।
অভিযান চালান হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগর থানার অন্তর্গত তিয়রখালি গ্রামে। পুলিশের সূত্রে জানা যায়, গ্রামের দুই বাসিন্দা, লক্ষীকান্ত ডিংগাল ও রাধারশ্যাম ডিংগাল, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বাজি তৈরির ব্যবসা চালাচ্ছিলেন। গোপন খবর পেয়ে ভূপতিনগর থানার পুলিশ বিশেষ টিম গঠন করে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই দুই অভিযুক্তের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। অভিযান চলাকালীন প্রথমে স্থানীয় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও, পুলিশের সক্রিয় ভূমিকার ফলে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
advertisement
advertisement
তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ৫০ কেজিরও বেশি প্রস্তুত শব্দবাজি, উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পটকা, রঙিন আতসবাজি, বিভিন্ন বিস্ফোরক উপাদান, দাহ্য রাসায়নিক, কাগজ ও বাঁশের ফ্রেমসহ নানা ধরনের বাজি তৈরির সরঞ্জাম। এসব বাজি অবাধে বাজারে ছড়িয়ে পড়লে তা শুধু শব্দদূষণ নয়, বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানির সম্ভাবনাও তৈরি করতে পারত। পুলিশ মনে করছে, বাজিগুলি গোপনে পাইকারি বাজারে সরবরাহের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ঘটনাস্থল থেকেই দুই অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার ধৃতদের পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হবে। এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ যুক্ত আছে কিনা এবং বাজির মূল উৎস কোথায়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি বাজি তৈরির কাঁচামাল কোথা থেকে সরবরাহ হচ্ছিল, তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশের সূত্রে আরও জানা গেছে, অবৈধ বাজি উৎপাদন ও মজুত রুখতে এই ধরণের অভিযান লাগাতার চলবে।
advertisement
পুলিশ জানায়, এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত নজরদারি বাড়ান হবে। বাজি কারবারিদের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যাতে সাধারণ মানুষের জীবন ও সম্পত্তি সুরক্ষিত থাকে এবং উৎসবের আনন্দ বিপদের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
গ্রামেই গোপনে গোপনে চলছিল সাংঘাতিক কাজ...পুলিশ হানা দিতেই সব ফাঁস! স্বাধীনতা দিবসের আগে বড় সাফল্য
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement