#বর্ধমান: আধিকারিকদের নিয়ে বেসরকারি নার্সিংহোমে অতর্কিতে অভিযান চালালেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক। দেখলেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের চিকিৎসায় নার্সিংহোমের অনিয়ম থাকছে কিনা। স্বাস্থ্য দফতরের গাইড লাইন মেনে চিকিৎসা না হলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে নার্সিংহোমগুলিকে, সেই হুঁশিয়ারিও দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ধারাবাহিকভাবে এই অভিযান চালানো হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
শনিবার বর্ধমানের উল্লাস এলাকার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে পরিদর্শনে যান পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব কুমার রায় ও অন্যান্য আধিকারিকরা। মূলত যথাযথভাবে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের চিকিৎসা হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখেন তাঁরা। জেলাশাসক বলেন, স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের নির্দিষ্ট গাইড লাইন আছে। তাতে নার্সিংহোমের সামনে ডিসপ্লে বোর্ড থাকার অবশ্যই প্রয়োজন। সেইসঙ্গে ডেডিকেটেড ডেস্ক ও আলাদা করে রেজিস্টার মেন্টেন করার কথা বলা আছে। কিন্তু এখানে সেসব দেখতে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: জেলাজুড়ে উদ্ধার প্রচুর বোমা-আগ্নেয়াস্ত্র! রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে
স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে চিকিৎসা হচ্ছে এমন রোগীদের ব্যাপারেও খোঁজ খবর নেন জেলাশাসক। রোগী ও কার্ডের সমতা বজায় রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে বর্ধমানের একটি নার্সিংহোম থেকে প্রচুর স্বাস্থ্য সাথী কার্ড উদ্ধার হয়েছিল। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে রোগীদের চিকিৎসা চলছে দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ব্যাপারে জেলাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা একটি চক্রের হদিশ মেলে। জেলা পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতর ওই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। ওই ঘটনার জেরেই এই অভিযান বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: গভীর রাত পর্যন্ত চেঁচামেচি, তারপর সব চুপ! অশোকনগরে কী ঘটে গেল?
বাসিন্দারা বলছেন, অনেক নার্সিংহোমই এই কারবারের সঙ্গে জড়িত। এই চক্রের সঙ্গে যুক্তরা গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের টাকার টোপ দিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সংগ্রহ করে। এরপর ভুয়ো চিকিৎসার বিবরণ দিয়ে মোটা টাকা হাতিয়ে নেয়। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, বিস্তারিত তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Bardhaman, Swasthya Sathi