হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
বালি পাচার রুখতে এবার ড্রোনে নজরদারি চালাবে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন

বালি পাচার রুখতে এবার ড্রোনে নজরদারি চালাবে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন

  • Last Updated :
  • Share this:

    শরদিন্দু ঘোষ

    #খন্ডোঘোষ: বালি পাচার রুখতে ড্রোনে নজরদারির সিদ্ধান্ত পূ্র্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের। ড্রোন কিনে তার মাধ্যমে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। সেইসঙ্গে বালিঘাট থেকে শুরু করে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে চলবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় নজরদারি। বর্ধমানের খন্ডঘোষে উন্নয়ন বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান জেলা শাসক বিজয় ভারতী।

    এতদিন মুখ্যমন্ত্রী জেলায় জেলায় মন্ত্রী আধিকারিকদের নিয়ে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন। এবার তিনি জেলাশাসক ও জেলা পরিষদের সভাধিপতিদের ব্লকে ব্লকে গিয়ে উন্নয়নের পর্যালোচনা বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ মেনেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় প্রথম খন্ডঘোষ ব্লকে উন্নয়ন পর্যালোচনা বৈঠক হল। সেই বৈঠকেই বালি পাচার রুখতে কড়া পদক্ষেপের কথা জানান জেলাশাসক।

    দীপাবলির পর পরই শুরু হয়েছে বালি তোলার মরশুম। খন্ডঘোষ ব্লকের গা গেঁষে বয়ে গিয়েছে দামোদর। এখানের দামোদরের বালির চাহিদাও ব্যাপক। কলকাতা, হাওড়া, দুই ২৪ পরগনা সহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখান থেকে বালি যায়। এখন বালি তোলার ভরা মরশুমে শুধু খন্ডঘোষ ব্লকেই চারশো লরি, ডাম্পার, ট্রাক্টর বালি তোলার কাজে যুক্ত। প্রশাসনিক বৈঠকে এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, নিয়ম নীতির কোনও রকম তোয়াক্কা না করেই বালি তোলার কাজ চলছে। নজরদারির ওভাবে ওভারলোডিং চলছে। এর ফলে একদিকে যেমন লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে তেমনই রাস্তার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এর মধ্যেই খানাখন্দে ভরে উঠেছে রাস্তা। তার ওপর দিন-রাত বেআইনি বালি পাচার চলছে। গাড়ির শব্দে রাতে বাসিন্দারা ঘুমতে পারছে না। দিনে দুর্ঘটনার আশংকায় পথে বেরনোই দায় হয়ে উঠেছে।

    প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে পেয়ে বাসিন্দারা জানান, রাজস্ব ফাঁকি রুখতে অবিলম্বে নজরদারি বাড়ানো হোক। সেইসঙ্গে দুর্ঘটনা রুখতে সকালে স্কুল চালু ও বিকেলে ছুটির সময় দু’ঘন্টা করে রাস্তায় বালির লরি চলাচল বন্ধ রাখার দাবি জানান তাঁরা।

    জেলা ভূমি রাজস্ব আধিকারিক,অতিরিক্ত জেলা শাসকদের উপস্থিতিতে জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, বেআইনি বালি পাচার রুখতে প্রশাসনের বিশেষ টিম নজরদারি চালাবে। সেইসঙ্গে চলবে সিসি টিভি ও ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি।

    First published:

    Tags: Drone, Sand trafficking