#বর্ধমান: জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। অথচ মাটির সামগ্রীর তেমন চাহিদা নাই, তাই বিক্রিও নেই। প্রতিমারও সেভাবে বরাত মিলছে না। দু' একজন যাঁরা আসছেন তাঁদেরও বাজেট নিতান্তই কম। অল্প খরচে ছোট প্রতিমা গড়ার কথা বলছেন তাঁরা। সব মিলিয়ে হতাশ কালনার মৃৎশিল্পী ও কুম্ভকাররা। সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে কাজ বাঁচাতে কম সুদে ঋণও চাইছেন তাঁরা।
বুধবার তাঁরা একজোট হয়ে স্খানীয় বিধায়ক বিশ্বজিত কুন্ডু, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। সমস্যার কথা জানিয়ে সাহায্যের আর্জি জানান তাঁদের কাছে।
করোনা পরিস্থিতি লকডাউন এর জেরে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে কালনা মহকুমা মৃৎশিল্পীদের তারা বলছেন গ্রীস্মের মরশুমে তবু কিছুটা মাটির সামগ্রীর চাহিদা বাড়ে। কিন্তু এবার লকডাউন এর জেরে সে সব সামগ্রী বাইরে পাঠানো যায়নি। অনেক কারখানায় তাই তালা পড়ে গিয়েছে। কর্মী রেখে কাজ চালানো সম্ভব হচ্ছে না। সংসার চালিয়ে নতুন করে কাজ শুরু করার মত আর্থিক সংগতি অনেকেই হারিয়েছেন। তাই এই পরিস্থিতিতে সরকারি আর্থিক সহায়তা দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। কুম্ভকাররা বলছেন, সরকার পরিযায়ী শ্রমিক জন্য অনেক রকম পরিকল্পনা নিয়েছে, তেমনি কুম্ভকার পাশেও দাঁড়াক তারা।
এলাকার প্রতিমাশিল্পীরা বলছেন, মাটি, দড়ি, কাঠ,বাঁশ সব জিনিসের দাম বেড়েছে। অথচ প্রতিমার বাজেট বাড়া দূরের কথা, তৈরির বরাতই মিলছে না। অনেকেই কম দামে ছোট প্রতিমা খুঁজছেন। অনেক পুজো কমে গিয়েছে। আবার প্রতিমা তৈরির মতো আর্থিক অবস্থাও অনেকের নেই। তাই প্রতিমা শিল্পীদের এই অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াতে কম সুদে ঋণ দিক সরকার। নচেত কারখানা চালু করাই মুশকিল হবে। প্রতিমা তৈরি শুরু করা গেলে শুধু শিল্পীদের পরিবারই নয়, সেখানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আরও অনেকের কর্মসংস্থান হয়। তাই মৃৎশিল্পীদের মাসিক আর্থিক সহায়তা ছাড়াও ঋন দিয়ে পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা।
মৃৎশিল্পীরা বলছেন, গত ছয় মাসে করোনার কারণে অনেকে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। পুজোর বাজারকে আঁকড়ে ধরে অনেকের ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করতে চাইছেন। এই সময় সরকার কিছুটা সহযোগিতা করলে তাদের সেই লড়াই কিছুটা সহজ হয়ে উঠবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Durgapuja2020