Erosion: রাত হলেই বিকট শব্দ! মেয়েদের বিয়ে দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছে যে কারণে! দেখুন ভিডিও

Last Updated:

গ্রামবাসীদের দাবি, এর আগে একাধিকবার গঙ্গার পাহাড় বাঁধাই করতে সরকার থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাঁদের পরামর্শ মতো কোনও কিছু করা হয় না।

+
রাত

রাত হলেই বিকট শব্দ! মেয়েদের বিয়ে দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছে যে কারণে! দেখুন ভিডিও

নদিয়া: মা দুর্গার  বিসর্জনের পর পাশাপাশি ভিটে মাটি, ঘরবাড়ি বিসর্জনের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বিষাদের সুর নদিয়ার গয়েশপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শ্রীরামপুর গ্রামে। এই গ্রামের মানুষদের আগে বসবাস ছিল যেখানে সেখানে, এখন ভাগীরথীর মাঝখান। গঙ্গা ভাঙনের কারণে ভিটেমাটি হারিয়ে একে একে গ্রামবাসীরা চলে যেতে যেতে বর্তমানে উজার হয়ে গিয়েছে এখন ওই পাড়া। এখনও বাকি রয়েছে ১০ থেকে ১২ টি পরিবার ওই গ্রামে। তবে তারাও গতকাল রাতের পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন ভিটেমাটি বিসর্জনের চিন্তায়।
আরও পড়ুন- অতিরিক্ত ঘাম হচ্ছে? কোন ভিটামিনের ঘাটতি শরীরে, জানলে চমকাবেন! বড় ক্ষতির আশঙ্কা আছে কি?
ওই গ্রামেরই স্থানীয় বাসিন্দা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত মেম্বার কালিপদ মল্লিকের বাড়ির পেছনে ছিল একটি বাঁশবাগান। আনুমানিক রাত আটটা নাগাদ বিকট একটি শব্দ হয় এবং তারা দেখেন বাঁশবাগানের একাংশ চলে যায় ভাগীরথী নদীর জলে। এরপর পুনরায় আনুমানিক রাত একটা নাগাদ। এরপর থেকেই আতঙ্কে সারারাত চোখের পাতা এক করতে পারেননি ওই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা।
advertisement
আরও পড়ুন- ঝিঙের ইংরেজি কী? বলুন তো দেখি! খেতে ভালবাসলেও জানেন না ৯৯%…চ্যালেঞ্জ!
গ্রামবাসীদের দাবি, এর আগে একাধিকবার গঙ্গার পাড় বাঁধাই করতে সরকার থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাদের পরামর্শ মত কোনও কিছু করা হয় না। কখনও কোনও স্থানে কয়েক বালির বস্তা ফেলে চলে যায় কখনওবা কোথাও কয়েকটি বাঁশের খাঁচা ফেলে চলে যাওয়া হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে গঙ্গা ভাঙনের স্থায়ী কোনও সমস্যা সমাধান হয়নি আজও। কিছুদিন আগেই প্রায় দেড় থেকে দুই বিঘে চাষের জমি ভাগীরথী নদীর জলের তলায় চলে গিয়েছে গ্রামবাসীদের চোখের সামনেই।
advertisement
advertisement
তাঁদের দাবি, নিজেদের খাজনা দেওয়া জমি এভাবে দিনের পর দিন চোখের সামনে চলে যাচ্ছে ভাগীরথী নদীর কড়াল গ্রাসে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সরকার তাদের জন্য বিশেষ কোনও ভূমিকা নিচ্ছে না। তবে এভাবে চলতে থাকলে গ্রামের মানুষের সঙ্গে আলোচনা না করে নিজেদের প্রকল্প সফল করার জন্য দু-একটি বালির বস্তা তুলে ছবি তুলতে গেলে তাঁরা আটকে রাখবেন। দাবি জানাবেন স্থায়ী গঙ্গার পাড় বাধাই এর জন্য।
advertisement
মহিলারা জানাচ্ছেন, আত্মীয়-স্বজন এসে কেউ রাতে থাকেন না। ঘরের মেয়েদের  বিয়ে দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে, গঙ্গা ভাঙনের আতঙ্কে। অথচ বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে নিজেদের জমিতে সরকারকে ট্যাক্স খাজনা দিতে হয় নিয়মিত কিন্তু সেই জমি যখন প্রাকৃতিক কারণে গঙ্গা পক্ষে চলে যায় তখন কোনও সরকারি সহযোগিতা মেলে না। অনেকেই বলে বসেন গঙ্গার তীরে ভাঙ্গন হবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু সহায় সম্বলহীন হলে তবেই বাধ্যতামূলক এই পরিস্থিতির মধ্যেও থাকতে হয়। সবচেয়ে বড় কথা চাষের জমি ভাগীরথী পক্ষে চলে যাওয়ার পর বেকার অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে কোথাও জমি কেনার সামর্থ্য নেই।
advertisement
এ বিষয় খোজ নিতে গেলে স্থানীয় গয়েশপুর পঞ্চায়েতের প্রধান বা উপপ্রধান কারওই সাক্ষাৎ মেলেনি। জানা গিয়েছে, উৎসবের মরশুমে তাঁরা বেড়াতে গিয়ে থাকতে পারেন। তবে বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলেই খবর।
মৈনাক দেবনাথ 
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Erosion: রাত হলেই বিকট শব্দ! মেয়েদের বিয়ে দেওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছে যে কারণে! দেখুন ভিডিও
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement