#কলকাতা: ভাইরাস গুজবে যখন মুরগির মাংস বিক্রি তলানিতে ঠিক তখন বহাল তবিয়তেই রয়েছে কড়কনাথ। দাম কমা তো দূরের কথা, বরং চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে এই কালো মুরগির। বাজার চলতি মুরগির মাংসের বিক্রি কমলেও তার কোনও প্রভাব পড়েনি কড়কনাথে। বর্ধমানের পাল্লা রোডে এই মুরগি ও তার ডিম বিক্রি হচ্ছে চড়া দামেই।
করোনা ভাইরাসের দোসর আবার মরফিন ভাইরাস। মুরগির মাংস খেলে এই দুই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার গুজব সোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুরগির মাংস থেকে এই ধরনের ভাইরাস ছড়ানোর বিজ্ঞান সম্মত কোনও ভিত্তি নেই। কিন্তু তাতেও গুজবের কারনে তৈরি হওয়া আতঙ্ক অনেকেরই মনে বাসা বেঁধে রয়েছে। আপাতত মুরগির মাংসের দোকানমুখো হচ্ছেন না অনেকেই। চিকেনের পদও এড়িয়ে চলছেন অনেকেই।
তবে ব্যতিক্রম কড়কনাথ। বর্ধমানের পাল্লা রোডে দুটি ফার্মে চাষ হচ্ছে কড়কনাথের। এই কালো মুরগির এক কেজি মাংসের দাম প্রায় ৮০০ টাকা। একটি ডিমের দাম একশো টাকার কাছাকাছি। এই মুরগির ডিম সাদা হলেও ঠোঁট থেকে নখ, পালক সবই কালো। রক্তও কালচে রঙ। এ মুরগির মাংসে নাকি রয়েছে রোগমুক্তির মহৌষধ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুরগির মাংসে ফ্যাট প্রায় নেই বললেই চলে। তবে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও আয়রন রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তাই এই মাংস খেলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। আবার এই মাংস ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রেও উপকারী। এছাড়াও প্রচুর উপকার ও রোগমুক্তির চাবিকাঠি নাকি রয়েছে কড়কনাথের মাংস এবং ডিমে।
তাই কড়কনাথের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ভাইরাস গুজবে অনেক মুরগির দোকানের ঝাঁপ বন্ধ হয়ে গেলেও কড়কনাথের বেলায় সেকথা খাটছে না। কালো মুরগি চাষের সঙ্গে যুক্তরা বলছেন, প্রথমে কড়কনাথের মাংস হাজার টাকা কেজি ছিল। উৎপাদন বাড়ায় দাম এখন কেজি প্রতি আটশো টাকার নিচে নেমেছে। অনেকেই এই চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। প্রশাসনও তাদের উৎসাহ দিচ্ছে। জেলা বা রাজ্যে এই মাংস সহজলোভ্য হতে এখনও দু বছর লাগবে। আপাতত মুরগির মাংস থেকে জেলার বাসিন্দাদের অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিলেও চাহিদা বাড়ছে কড়কনাথের।
Saradindu Ghosh
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kadaknath Chicken