পানাগড় বাইপাসের উদ্বোধন ঘিরে বিতর্ক

Last Updated:

পানাগড় বাইপাসের উদ্বোধন নিয়ে বিতর্ক ৷ দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা প্রকল্পের সমাপ্তি শেষে শনিবার ছিল পানাগড় বাইপাসের উদ্বোধন ৷ এদিন বিকেলে কেন্দ্রীয় নগরোন্নায়ন প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এই নতুন সড়কের উদ্বোধন করবেন বলে স্থির হয়েছিল ৷

#দুর্গাপুর: পানাগড় বাইপাসের উদ্বোধন নিয়ে বিতর্ক ৷ দীর্ঘ সময় ধরে চলে আসা প্রকল্পের সমাপ্তি শেষে শনিবার ছিল পানাগড় বাইপাসের উদ্বোধন ৷ এদিন বিকেলে কেন্দ্রীয় নগরোন্নায়ন প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এই নতুন সড়কের উদ্বোধন করবেন বলে স্থির হয়েছিল ৷ কিন্তু তিনি পৌঁছানোর আগেই এদিন সকালে সড়ক উদ্বোধন করে দেন তৃণমূল নেতারা ৷
মেয়র জীতেন্দ্র তিওয়ারির উপস্থিতি পানাগড় বাইপাসের উদ্বোধন করলেন তৃণমূল নেতা ও শ্রম এবং আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক ৷ অনুষ্ঠানে জেলা তৃণমূল সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন ৷ বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র জন্য কোনও অপেক্ষা না করেই তৃণমূল নেতাদের এই কাজে তৈরি হয়েছে বিতর্ক ৷
বিষয়টি জানতে পেরে বাবুল সুপ্রিয়র মন্তব্য, ‘আমি দ্বন্দ্বে নারাজ’,  ৷ সরাসরি কাউকে আক্রমণ না করে নিজের প্রতিক্রিয়ায় বাবুল জানান, ‘মানুষের ব্যবহারের জন্যই রাস্তা ৷ কেউ ২ ঘণ্টা আগে রাস্তা খুলে দিয়ে যদি আনন্দ পায় তাহলে ক্ষতি কি? আমি কোনও দ্বন্দ্বে যাব না ৷ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষও কিংকর্তব্যবিমূঢ় ৷  জাতীয় সড়ক মন্ত্রকও কিংকর্তব্যবিমূঢ় ৷ আমি নির্ধারিত সময়েই সময়ই উদ্বোধন করতে যাব ৷ এটা সরকারি অনুষ্ঠান ৷ তাই কোনও দলীয় পতাকা ব্যবহৃত হবে না ৷’‌
advertisement
advertisement
এই ঘটনায় শুধু বিজেপি-তৃণমূল নয়, কেন্দ্র ও রাজ্যের দ্বন্দ্বও আরও একবার সামনে এল ৷ যদিও প্রায় চারমাস আগে বাইপাস নির্মানের কাজ শেষ হলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সময় না পাওয়ায় উদ্বোধন করা সম্ভব হয়নি । অবশেষে তৈরী হয়ে পড়ে থাকা বাইপাসটি উদ্বোধনের জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় নিজেই উদ্যোগী হন ।
গত ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে পানাগড়কে যানজট মুক্ত করতে শুরু হয় বাইপাস নির্মানের কাজ । প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যায়ে ৮.১৫ কিলোমিটার লম্বা এই রাস্তা নানা বাধা-বিঘ্ন পেরিয়ে অবশেষে শনিবার উদ্বোধন করা হল ।
advertisement
এদিন থেকেই এই সড়কে সবরকম যান চলাচল করতে পারবে । এতে একদিকে যেমন সুবিধে পাবেন পানাগড়ের ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা অপর দিকে স্বস্তি পাবে নিত্য যাত্রীরাও । এতদিন যেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হত, তা এবার কয়েক মিনিটেই পার হয়ে যাওয়া যাবে । বাইপাস চালু হয়ে গেলে যানজটের পাশাপাশি কমে যাবে দুর্ঘটনাও ।
advertisement
১৯৯৮ সালে তত্কালীন বাজপেয়ী সরকার ২ নম্বর জাতীয় সড়কের সম্প্রসারণ কাজ শুরু করলে পানাগড়ে বাধা দেয় স্থানীয় বাবসায়িরা । ফলে থমকে যায় ৩.৫ কিলোমিটারে জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ । তারপর থেকেই নিত্য যানজট বেড়েই চলে । সমস্যায় পড়ে ব্যবসায়ীরাও । যানজটের কারনে পানাগড় বাজার থেকে মুখ ফেরায় ক্রেতারাও । একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দুর্ঘটনা ।
advertisement
২০১১ সালে রাজ্যে তৃণমূলের সরকার গঠন হলে এলাকার মানুষ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ফের আবেদন করেন, এমনকি রাস্তায় দাঁড়িয়ে কখনও কখনও মানুষের কষ্টের কথাও শুনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তার পরেই ২০১৩ সালে বর্ধমানে একটি সভায় তিনি বাইপাস তৈরির উদ্যোগের কথা জানিয়েছিলেন । সেইমত ২০১৪ সালে দ্রুত জমি অধিগ্রহনের কাজ শুরু হয় । তাতে কখনও বেআইনি ভাবে মাটি ভরাটের অভিযোগ, কখনও ব্রিজের দাবিতে আন্দোলন করেছেন এলাকার মানুষ ।
advertisement
সব সমস্যা কাটিয়ে অবশেষে বাইপাস নির্মাণের কাজ শেষ হয় চার মাস আগে ।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
পানাগড় বাইপাসের উদ্বোধন ঘিরে বিতর্ক
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement