#শিয়ালদহ: অনেকদিন ধরেই পুলিশের খবর ছিল ছিনতাইয়ের। সন্দেহ হলেও হাতেনাতে ধরা সম্ভব হচ্ছিল না। থানায় অভিযোগ করেছিল অনেকই, বেশীভাগ অভিযোগ ছিনতাইয়ের। তদন্তের সময় জানা যায় বেশিভাগ ছিনতাইয়ের সময় রাতে। শিয়ালদহ স্টেশনের মত জনবহুল এলাকায় এই অভিযোগে কাপালে ভাঁজ অফিসারদের। সকালে নজরদারির পাশাপাশি জোর কদমে চলে রাতে নজরদারি। এবার সেই রাতের নজরদারিতেই মিলল সাফল্য। মঙ্গলবার রাতের দিকে শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরের জনবহুল এলাকার সঙ্গে তুলনামূলক কম লোকের যাতায়াতের রাস্তায় নজর রাখেন কিছু সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মী। তাদের নজরে ছিল বেশ কিছু সন্দেহজনক ব্যক্তি। এদিন সেরকম কোন অভিযোগ না এলেও নজর ছিল সন্দেহজনক কিছু ব্যাক্তির দিকে। কিছু ব্যক্তিকে অনেকবার তল্লাশি বা জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও মেলেনি কিছুই। তার মধ্যেই সাদা পোষাকের কিছু পুলিশ কর্মীর নজরে আসে তিন সন্দেহ জনক মাঝ বয়সী যুবক। পুলিশের নজরে আসে তিনজন একটি নির্জন জায়গায় কিছু লুকানোর চেষ্টায়, পুলিশের সন্দেহ বাড়ে তখন। বেশকিছু সময় তাদের নজরে রাখার পরে তাদের কাছে ছুটে যায় তিন সন্দেহভাজন। তিনজনের মধ্যে এক ব্যাক্তি ধরা পড়ে কলকাতা পুলিশের অফিসারদের হাতে। তাকে তল্লাশি করে মেলে চারটি সোনার চেন। সেই দামী সোনার চেন কোথায় ছিল তারও কোনও উত্তর দিতে পারেননি অভিযুক্ত আমজাত হুসেন। তাকে দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার তাকে শিয়ালদহ আদালতে তোলা হলে পুলিশের তরফে চাওয়া হয় নিজেদের হেফাজতে। তারপরেই আগামী ২৪ তারিখ পর্যন্ত আমজত হুসেন পুলিশের হেফাজতে। পুলিশ সূত্রের খবর তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে মিলতে পারে নতুন চক্রের হদিস ও আরও সোনার সামগ্রী।
Susovan Bhattacharjeeনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Chain snatcher, Gold Chain, Sealdah