#বাসন্তী: তাঁর ভোটপ্রচারে বিতর্ক হবে না, তা কি হতে পারে? আসলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আর আর বিতর্ক প্রায় সমার্থক। নবান্ন দখলের লড়াইয়েও বিজেপির অন্যতম মুখ দিলীপ। যদিও তাঁকে প্রার্থী করেনি দল, তবু দিলীপ ঘোষকে নিয়ে বিজেপির বড় ভাবনা আছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। এহেন দিলীপ এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানাতে গিয়ে টেনে আনলেন সদ্য প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রসঙ্গ! দিলীপের দাবি, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার ডোনাল্ড ট্রামের মতোই স্বৈরাচারী।' যদিও দিলীপের মন্তব্যের পরই তৃণমূল তরফে প্রশ্ন, 'যাকে প্রিয় বন্ধু মনে করতেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি। ভারতে যাঁকে এনে বিরাট কলেবরে নমস্তে ট্রাম্প করলেন, তাঁর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুলনা!' বিজেপির অন্যান্য নেতারা অবশ্য এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
শনিবার বাসন্তীতে ভোট প্রচারে এই কথা বললেও শুক্রবারও একই দাবি করেছিলেন দিলীপ, এনেছিলেন ট্রাম্পের প্রসঙ্গ। এদিন একই সঙ্গে দিলীপের সংযোজন, 'শাসকদল স্বৈরাচারী হয়ে পড়েছে। হত্যালীলা চালাচ্ছে। ওনাদের কাছে হার স্বীকার করে নেওয়াটা মুশকিল।' তবে, দিলীপের দাবি বাংলা তার রায় দিয়ে দিয়েছে। প্রথম দু'দফাই বলে দিচ্ছে, তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত, আর ক্ষমতায় আসছে বিজেপি।
গেরুয়া শিবিরের সেনাপতির দাবি, 'ভোটের যে চিত্র দেখা যাচ্ছে, তাতে খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে। আর দু'দফা পরে যে যার ঘরে ঢুকে যাবে। নির্বাচনের প্রচার আর কেউ করবে না।' একইসঙ্গে নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গেও মমতাকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে দিলীপ বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছেন, তাঁর নিজের ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাচ্ছে। সেই কারণে তিনি নিজে বেরিয়ে ভোটের দিন অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করেছেন। একজন মুখ্যমন্ত্রী নিজে একটা বুথে দু'ঘন্টা বসে ছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং একজন প্রার্থী হিসেবে এটা তাঁকে শোভা দেয় না।'
এদিনই একাধিক সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির উদ্দেশে কটাক্ষ করেছেন, প্রথম দু'দফাতেই কোমর ভেঙে গিয়েছে বিজেপির। মমতাকে তা নিয়ে পালটা বিঁধতেও ছাড়েননি দিলীপ। মুখ্যমন্ত্রীর পা ভাঙার প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, 'যারা নিজের পায়ে হাঁটতে পারছেন না, তারা অন্যের পা ভাঙার কথা বলছেন। এগুলো শিশুসুলভ কথাবার্তা। রাজনীতিতে এর কোন গুরুত্ব নেই। তৃণমূলকে বাংলার মানুষ জবাব দিয়ে দিয়েছেন।'