গ্রামের ছেলের হাস্য়রসে মজেছিল দর্শক, মনে রেখে পুজোয় বাজবে তাঁরই হাস্য়কৌতুক

Last Updated:

নবদ্বীপ হালদার বাংলা চলচ্চিত্রে আসেন তিরিশের দশকে। কৌতুক অভিনেতা হিসেবে বিশেষ খ্যাতি লাভ করেন।

Nabadwip Haldar
Nabadwip Haldar
#বর্ধমান: এ বারও পুজোয় নবদ্বীপ হালদারের হাস্য কৌতুকে ভাসবে সোনাপলাশি গ্রাম। নতুন প্রজন্মের কাছে হাসির রাজার শিল্পকীর্তি তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ। এই গ্রামেই জন্ম কৌতুক অভিনেতা নবদ্বীপ হালদারের। তাই এই গ্রামে প্রতি বছর নবদ্বীপ হালদারের হাস্য কৌতুক বাজে।
বর্ধমান শহর থেকে বারো কিলোমিটার দূরে সবুজে ঘেরা গ্রাম সোনাপলাশি। এই গ্রামেই ১৯১১ সালে এক বর্ধিষ্ণু পরিবারে জন্ম নবদ্বীপ হালদারের। গ্রামের স্কুলেই প্রাথমিকের পড়াশোনা করেন তিনি। এর পর বর্ধমানের মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলে ভর্তি হন। পরবর্তী সময়ে পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে কলকাতা চলে যান। তবে গ্রামের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল বরাবর। গ্রামের গাজন ও দুর্গাপুজোয় নিয়ম করে আসতেন। কলকাতা থেকে দল নিয়ে এসে যাত্রাপালায় অভিনয় করে যেতেন। শোনাতেন হাস্য কৌতুক।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: বিলকিস বানোর দোষীদের মুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক 'আহিম'-এর, জানুন
নবদ্বীপ হালদার বাংলা চলচ্চিত্রে আসেন তিরিশের দশকে। কৌতুক অভিনেতা হিসেবে বিশেষ খ্যাতি লাভ করেন। ভাঙা গলা ও অভিনয় কৌশল তাঁকে জনপ্রিয়তার শিখরে নিয়ে গিয়েছিল। দুই বেচারা, মানিক জোড়, হানাবাড়ি, সন্ধ্যাবেলার রূপকথায় তিনি অভিনয় করেন। উত্তম সুচিত্রার সঙ্গে সাড়ে চুয়াত্তরে তাঁর অভিনয় আজও বাঙালির মুখে মুখে ফেরে। বহু শ্রুতি নাটকে তিনি কন্ঠ দিয়েছেন। গ্রামবাসীরা বলছিলেন, অনেকেই কথার টানে নবদ্বীপ হালদারকে পূর্ব বঙ্গের বাসিন্দা ভেবে থাকেন। আসলে তিনি আমাদের এই গ্রামের মানুষ ছিলেন। ছোট বেলায় কলকাতা চলে গেলেও বরাবর এই গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে গেছেন।
advertisement
তবে অনেক বছর আগেই ভেঙে পড়েছে নবদ্বীপ হালদারের বসত বাড়ি। দালান বাড়ির জায়গায় এখন শুধুই ঝোপঝাড়। শাখা মেলেছে বট ও অশ্বত্থ। এলাকার বাসিন্দারা গড়ে তুলেছে সোনাপলাশি নবদ্বীপ হালদার স্মৃতি সংঘ। তবুও নতুন প্রজন্মের কাছে আজ উপেক্ষিত সোনালী দিনের এই শিল্পী। তাই পুজোর দিনগুলিতে নিয়ম করে দুবেলা নবদ্বীপ হালদারের হাস্যকৌতুক বাজানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রামের পাঁচটি বারোয়ারি পুজো কমিটি। গ্রামবাসীরা চান, শিল্পীর জন্মভিটেতে গড়ে উঠুক সংগ্রহশালা, স্মৃতিসৌধ।
advertisement
শরদিন্দু ঘোষ 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
গ্রামের ছেলের হাস্য়রসে মজেছিল দর্শক, মনে রেখে পুজোয় বাজবে তাঁরই হাস্য়কৌতুক
Next Article
advertisement
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’ কমপ্লেক্স, অমিত শাহ বললেন 'সোনালি যাত্রাপথ'!
সাউথ ব্লক ছেড়ে নতুন ঠিকানায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর! সেন্ট্রাল ভিস্তায় গড়ে উঠল ‘সেবাতীর্থ’
  • প্রধানমন্ত্রীর দফতর সাউথ ব্লক ছেড়ে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের নতুন কমপ্লেক্সে যাচ্ছে.

  • সেবাতীর্থ কমপ্লেক্সে থাকবে ক্যাবিনেট সচিবালয় ও NSA অজিত ডোভালের দফতর.

  • সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের অংশ হিসেবে নতুন প্রশাসনিক পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement