#বসিরহাট: অপেক্ষার পাহাড় জমছিল মনে। নুয়ে পড়া শরীর আঁকড়ে পাথরচাপা কষ্ট। নিউজ 18 বাংলার খবরের জেরে হঠাৎ বদলে গেল ফুটপাথের অভ্যস্থ জীবনটা। যে ছেলে-বউমার অত্যাচারে ঘরে ছেড়ে ফুটপাথে ঠাঁই হয়েছিল...সেই তাদের হাত ধরে ঘরে ফিরলেন নব্বইয়ের বার্ধক্য।
এভাবেই ছিলেন প্রায় এক-বছর। ছেলে-বউমার অত্যাচারে ফুটপাথ-ই হয়ে উঠেছিল ঘরছাড়া নব্বই বছরের অনিমা বাছারের ঠিকানা। পথচলতি মানুষের দেওয়া খাবারেই ভরত পেট।
বুধবার দিনভর এ খবর সম্প্রচার করে নিউজ 18 বাংলা। তারপরই বদলে যায় ছবিটা। বুধবার রাতেই মা-কে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যান ছেলে-বউমা। বসিরহাটের হরিশপুর মোড়ের যে ফুটপাথে এতদিন অপেক্ষায় ছিলেন, সেখান থেকেই নিজের বাড়ি ফিরলেন বৃদ্ধা। শীর্ণ দু’পায়ে শক্তি তেমন নেই। তবু ফিরলেন ঘরে....।
ঠিক যেন পথের পাঁচালির ইন্দির ঠাকুরান। গ্রিলের ফাঁক দিয়ে কুঁচকে যাওয়া চামড়ায় রোদ এসে পড়েছে। ছাপসা চোখে একটু কী ভয়? ফের ভিটেছাড়া হওয়ার...
বুধবারের তেজ উধাও। বউমা এখন বলছেন, তাঁরা যা খান, শাশুড়িও খাবেন।
ইচ্ছেয় হোক, বা চাপে পড়ে। বৃদ্ধা ঘরে ফেরায় খুশি প্রতিবেশীরাও।
বলিরেখার কাটাকুটি, ভাঙা চোয়ালে হাসি আসে না আর....বাড়ি ফিরেও গুমরে মরে বার্ধক্য। ভেজা, ভেজা চোখ, শিরা-বেরনো আঙুল শুধুই প্রহর গোনে। নাড়ির টানে যে চিড় ধরেছে.....এভাবে ঘরে ফেরায় কী মিটবে দূরত্ব ?