#বর্ধমান: শনিবার থেকেই শুরু হচ্ছে নবান্ন দখলের লড়াই। কিন্তু মাত্র একদিন আগেই প্রার্থী নিয়ে বিজেপির বিড়ম্বনা থামছে না। প্রথম থেকে শেষ দফা- যতবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি, ততবারই রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন দলের একটা অংশ। সেই ক্ষোভ যে এখনও প্রশমিত হয়নি সব জায়গায়, তার প্রমাণ মিলল বৃহস্পতিবার রাতে, পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলিতে। প্রার্থী নিয়ে সেই অশান্তি এমন জায়গায় পৌঁছালো, দু'পক্ষের সংঘর্ষে আহত হলেন অন্তত ১০ জন। ভোটের ঠিক মুখে এই ঘটনা আবারও অস্বস্তি বাড়াল গেরুয়া শিবিরের।
প্রসঙ্গত, পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে বিজ্ঞানী ও দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গোবর্ধন দাসকে। কিন্তু শুরু থেকেই সেই প্রার্থীর বিরুদ্ধে সরব হন জেলা বিজেপির একটা বড় অংশ। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বিক্ষুদ্ধদের অভিযোগ, গতকাল আলোচনার জন্য ডেকে পাঠানো হলেও আদতে তাঁদের 'শিক্ষা' দিতে মারধর করা হয়। যদিও বিজেপি প্রার্থী গোবর্ধন দাস দাবি করেছেন, দলীয় বৈঠকে তৃণমূলের প্ররোচনায় কয়েকজন ঢুকে পড়েছিল। তাঁরাই সেই ঝামেলা বাঁধিয়েছে। তৃণমূলের তরফে অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে।
অপরদিকে, পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পটাশপুরের নৈপুর অঞ্চলের চাঁদপুর বুথ-এর এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ দলীয় কর্মী-সমর্থকরা এলাকায় ভোটের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করছিলেন। সেই সময় তৃণমূলের অন্তত ৪০ জন দুষ্কৃতী লাঠি-রড নিয়ে তাঁদের উপর হামলা চালায়। ব্যাপক মারধর করা হয়, এরপর হামলা চালানো হয় বাড়িতেও। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ঘটনায় ৬ জন আহত হলেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ২ জন। যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের দিকেই আঙুল তুলেছে শাসক দল।
অপরদিকে, খড়গপুর শহরে তৃণমূলের সভা চলাকালীন শাসক দলের পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিজেপি নেতা বাপ্পা ঘোষের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। বৃহস্পতিবার খড়গপুর সদরের তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকারের সমর্থনে তালবাগিচা এলাকায় সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই এই ঘটনাটি ঘটে বলে অভিযোগ শাসক দলের।