East Bardhaman: টিকা অমিল, ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই

Last Updated:

জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সংক্রমণ যত বাড়ছে ততই বাসিন্দাদের মধ্যে টিকা নেওয়ার চাহিদা ব্যাপক আকার নিয়েছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় টিকা সরবরাহ না থাকার কারণেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে।

বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনার সংক্রমণ ব্যাপক আকার ধারণ করলেও প্রয়োজনের টিকা পাচ্ছেন না বাসিন্দারা। অনেকেই ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও টিকা না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন। কোমর্বিডিটি রয়েছে এমন অনেকেই এখনও টিকা না পেয়ে উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সংক্রমণ যত বাড়ছে ততই বাসিন্দাদের মধ্যে টিকা নেওয়ার চাহিদা ব্যাপক আকার নিয়েছে। কিন্তু চাহিদার তুলনায় টিকা সরবরাহ না থাকার কারণেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। বেশি পরিমাণে টিকা না আসা পর্যন্ত এই সমস্যা চলবে।
পূর্ব বর্ধমান জেলায় অনেকেই প্রথম করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিলেও দ্বিতীয় ডোজের জন্য হাপিত্যেশ করে ঘুরে বেড়াতে বাধ্য হচ্ছেন। টিকা দেওয়ার কেন্দ্রগুলিতে ভোর থেকে লাইন পড়ছে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানোর পরেও অনেকে টিকা না পেয়ে বাড়ি ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কোভিশিল্ডের ক্ষেত্রে ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে এবং কোভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে ২৮ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। কিন্তু অনেকের সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে।
advertisement
বাসিন্দারা বলছেন, প্রথম ডোজ নিয়েছেন এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি। তাদের অনেকের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। টিকা নেওয়ার জন্য মাঝেমধ্যেই ঘরের বাইরে আসতে হচ্ছে তাঁদের। এর ফলে তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে।
advertisement
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জেলায় চল্লিশটি কেন্দ্র থেকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা নেই। তাই অনেক জায়গায় অনির্দিষ্টকালের জন্য টিকা দেওয়া বন্ধ রাখতে হচ্ছে। অনেক জায়গায় আবার শুধুমাত্র দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কালনা ও কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল সহ বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে সব জায়গাতেই মজুত টিকার তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি থাকছে। তাই সবাইকে করোনা টিকা দেওয়া যাচ্ছে না বলেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
advertisement
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রথম প্রথম পর্যাপ্ত পরিমাণে ভ্যাকসিন মজুত থাকলেও তা নেওয়ার চাহিদা ছিল খুবই কম। অনেক জায়গাতেই টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে বাসিন্দাদের মধ্যে তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। কিন্তু এখন সংক্রমণ ও তার জেরে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় বাসিন্দাদের মধ্যে টিকা নিয়ে নেওয়ার ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম রয়েছে। তাই চাহিদা অনুযায়ী টিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
advertisement
Saradindu Ghosh
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Bardhaman: টিকা অমিল, ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন অনেকেই
Next Article
advertisement
Bihar Assembly Elections Update: হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষ পর্যন্ত জয়ী তেজস্বী, রাঘোপুরে মুখ রক্ষা হলেও বিহারে মহাজোটের ভরাডুবি!
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের শেষ পর্যন্ত জয়ী তেজস্বী, রাঘোপুরে মুখ রক্ষা হলেও বিহারে মহাজোটের ভ
  • রাঘোপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী তেজস্বী যাদব৷

  • হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর হারালেন বিজেপি প্রার্থীকে৷

  • ১৪৫৩২ ভোটে জয়ী তেজস্বী৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement